বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আমাদের দেশে দুই ধরনের ফল রয়েছে। একটি প্রচলিত, অন্যটি অপ্রচলিত। পুষ্টি ও ঔষধি গুণের দিক থেকে অপ্রচলিত ফলের গুরুত্ব অনেক বেশি। বাণিজ্যিক চাষাবাদ না হওয়ায় এ ফলগুলো হুমকির মুখে পড়ছে। সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে সুস্বাদু ফলগুলো।
অপ্রচলিত কিংবা অবহেলিত সেই ফলকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ডেজার্ট, জেলিসহ বিভিন্ন রেসিপির প্রদর্শনী হলো গভর্মেন্ট কলেজ অব এপ্লাইড হিউমেন সায়েন্স – কলেজ প্রাঙ্গনে।
১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) বাংলাদেশের ফলের বৈচিত্রময়তা নিয়ে ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ মাস্টার শেফস (WAMC), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার থেকে এই ভিন্ন আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের পরিচিত ও সুস্বাদু ফল ছিল। ফল দিয়ে বানানো জেলি ও নানা পদের ডেজার্ট প্রদর্শন করা হয় এবং নতুন প্রজন্মের সাথে হারিয়ে যাওয়া সুস্বাদু ফলগুলোকে পরিচয় করানো হয়।
মূলত এই আয়োজন করা হয় অবহেলিত বা ঝরে পড়া দেশীয় সব ফলমূল সবজি এগুলো দিয়ে নানাবিধ আকর্ষণীয় খাবার তৈরি করে নিজেদের এবং দেশের খাদ্য সংকট মিটিয়ে দেশের বাইরেও এই খাবার গুলোকে পরিচিত করা এবং এটি হতে পারে আয়ের একটি বিরাট উৎস। যা আমাদের এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশাল প্রভাব বিস্তার করবে।
গভর্মেন্ট কলেজ অব এপ্লাইড হিউমেন সায়েন্স এর অধ্যক্ষ প্রফেসর সোনিয়া বেগম অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কাটার মাধ্যমে আয়োজনের উদ্বোধন করেন৷
WACM এর প্রেসিডেন্ট শাহেদা ইয়াসমিন উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের ৩য় বর্ষপূর্তি সেই সাথে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আমরা চেয়েছি নতুন কিছু করার চিন্তা ভাবনা ছিল আর সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া যত ফল আছে যেটা নতুন প্রজন্ম একেবারেই চিনে না, সেটার সাথে তাদের পরিচিতি এবং সেই ফলগুলো দিয়ে জেলি বানিয়ে সেই জেলি দিয়ে আমরা বাংলাদেশের মানচিত্রের আদোলে কেক বানিয়েছি এবং চিহ্নিত করেছি কোন বিভাগে কোন ফল পাওয়া যায়। ফল দিয়েও যে বিভিন্ন আইটেম করা সম্ভব সেটাই আমরা এই আয়োজনে উপস্থাপন করেছি।’
ফলের তৈরি বাহারি আয়োজনে উৎসবমুখর ছিলো কলেজ প্রাঙ্গন। শিক্ষার্থীরা স্টলে ভীড় করে এবং নানা বিষয়ে প্রশ্ন করতে দেখা যায় তাদের। ফলের তৈরি ডেজার্টগুলো উপস্থিত সকলেই বেশ পছন্দ করেন এবং এর বাজারজাত সম্পর্কে জানতে চান।
ফলের তৈরি রেসিপিগুলোর বাজারজাতকরণ প্রসঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট তাহমিনা আহমেদ বানী বলেন, আমরা সবাইকে জানাতে চেয়েছি ফল দিয়েও বিভিন্ন ডেজার্ট, জেলি, কেক করা সম্ভব। নতুন নতুন উদ্যোক্তারা চাইলে এই ধরনের আইটেম তৈরির মাধ্যমে পণ্য বাজারজাত করতে পারে এতে করে দেশের ফলকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে৷
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা