পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে যুক্ত হচ্ছে আরও ৩১শিল্প প্রতিষ্ঠান

0

১৯৬২ সালে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করে পাবনা বিসিক শিল্পনগরী। খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে পরিচিত আছে দেশের অন্যতম পুরোনো এ শিল্পনগরী হিসেবে। বর্তমানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বিনিয়োগ করছে ভারী শিল্পোদ্যোক্তারাও। শুরুতে ৮৩ একর জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও ধীরে ধীরে ১১০ একর প্রকল্পের আওতায় ৪৭৪ টি প্লটে ১৭২টি কারখানা স্থাপন করা হয়। পরে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ২০১৬ সালে ১৫ একর জায়গা যুক্ত করা হয়। দু’ দফায় বাড়িয়ে ১২৫ একর প্রকল্পের আওতায় ১০০টি প্লটে ৩১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

পাবনা বিসিকের ২০৩ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বর্তমানে ১৮৩ প্রতিষ্ঠান পুরোদমে চালু। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন প্রায় ১০ হাজারের বেশি জনবল। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো চালু হলে আরও প্রায় ১৩/১৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

বিসিক সূত্রে জানা যায়, পুরনো ইউনিটে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রতি বছর পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে প্র‍ায় ৮০০ কোটি টাকার বেশি। পাবনা বিসিক শিল্পনগরী এলাকার পুরনো ইউনিটে চলমান কারখানাগুলোর বেশিরভাগই খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা। চাল, আটা, ডাল, তেলসহ বেশ কয়েকটি খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের মধ্যে অন্যতম।

তাছাড়াও সম্প্রসারিত এলাকায় স্টিল কারখানা, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

পাবনা বিসিকের সম্প্রসারিত এলাকায় ২৮৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি বছর প্রায় ৭৬৫ কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন হবে বলে মনে করেন বিসিক কর্তৃপক্ষ।

এক সময় পুরনো পদ্ধতির চালকলের আধিক্য থাকলেও এখন সেখানে অত্যাধুনিক রাইস মিল উৎপাদনে আছে। অন্যান্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যবহার করছে অত্যাধুনিক মেশিনারিজ।

দেশের বাজারে খাদ্যপণ্যের চাহিদা পূরণে পাবনা বিসিক শিল্পনগরী বিরাট ভূমিকা রাখছে। প্রতিদিন প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল, ৫০০ মেট্রিক টন আটা, ৪০০ মেট্রিক টন ডাল এবং প্রায় ২০০ মেট্রিক টন তেল উৎপাদিত হচ্ছে।

ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here