মানসিক বিকাশের জন্য সিনেমা বেশ কার্যকরী ওষুধ। তবে এখানে বহুচর্চিত কোনো সিনেমার কথা উল্লেখ করছি না, যেগুলো অনেকেরই দেখা। বরং, এমন কয়েকটি সিনেমার অবাক সন্ধান দিচ্ছি যেগুলো দেখলে উদ্যোক্তারা কোনো না কোনোভাবে উপকৃত হবেনই।

জেনে নেয়া যাক সেই সিনেমাগুলো সম্পর্কে কিছু সাধারণ তথ্য।

১) দি ইন্টার্ন (The Intern)

রবার্ট ডি নিরোর (Robert De Niro) এই সিনেমা থেকে ভাবনাচিন্তা করার মতো উপাদান সব সময়েই কিছু না কিছু মেলে। যেমন, নাম করা যেতে পারে রবার্ট ডি নিরোর তৈরি দি ট্যাক্সি ড্রাইভার, গডফাদার টু-এর মতো সিনেমা। দি ইন্টার্ন সিনেমার গল্পটি হল একজন অবসরপ্রাপ্ত মানুষ অবসর নেওয়ার পরের জীবনটি কিভাবে আবিষ্কার করতে চাইছেন, তার নিটোল গল্প। ছবিতে এও দেখানো হয়েছে, আধুনিক ই-কমার্স বস্ত্র বিপণন সংস্থায় এক কর্মপ্রার্থী আবেদনকারীর কাহিনী। ছবিটি মুক্তি পায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। এই ছবিটিতে শিক্ষণীয় অনেক কিছুই রয়েছে। উদ্যোক্তাদের উচিত সপরিবারে ছবিটা দেখে ফেলা।

২) গেট এ জব (Get a Job)

এই ছবিটিও প্রেরণাদায়ক। ছাত্রজীবনে অধিকাংশ মানুষ যে স্বপ্নগুলো নি্জের ভেতর লালন করেন, পরে কর্মজীবনে প্রবেশ করার সময়ে তা বহুক্ষেত্রে আহত হয়ে থাকে। ছবিটিতে বলা হয়েছে এমন চার অল্প বয়স্কের স্বপ্ন ও সংঘাতের গল্প। দেখানো হয়েছে স্বপ্নের জীবন ও বাস্তব জীবনের মধ্যকার সংগ্রামের কাঠিন্য। তবে শেষ পর্যন্ত সবই ভালোয়-ভালোয় মিটেছে। ছবির চার চরিত্রই শেষ মেশ জীবনে উদ্যোক্তা হিসা্বে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। নিজেদের লুকায়িত প্রতিভা জাগাতে পেরেছেন। কমে্ডির মোড়কে নির্মিত হয়েছে ছবিটি।

৩) দি বস (The Boss)

ছবিটা খানিক অতিনাটকীয় হলেও এ কথা হলফ করেই বলা যায়, দেখতে দেখতে আগাগোড়া উপভোগ করবেন। ছবিটি কমেডি নির্ভর। বসের ভুমিকায় অভিনয় করেছেন আকা ডারনেল। আর তার অ্যাসিট্যান্ট তথা ব্যবসায়িক সহযোগীর ভূমিকায় ছিলেন আকা ক্লেয়ার। উদ্যোগী বনতে চেয়ে ওঁরা দু’জনেই গোটা ছবিতে নানা ওঠা-পড়ার সম্মুখীন হয়েছেন। সামলেও নিয়েছেন। একটা কখা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এ ছবিটা আপনি শুধুমাত্র উপভোগই করবেন না, সেই সঙ্গে আরো আত্মপ্রত্যয়ীও হয়ে উঠবেন।

৪) জয় (JOY)

এ ছবিটি একজন মহিলা উদ্যোক্তা সম্পর্কিত। মহিলা উদ্যোক্তার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেনিফার লরে্ন্স (Jennifer lawrence)। জেনিফার একজন বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলা। দুটি শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি তার মা ও দাদির সঙ্গে থাকেন। তার বাবা-মায়ের দাম্পত্য সম্পর্কেও বিচ্ছেদ ঘটেছিল। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে জেনিফারের দাদির প্রেরণাদায়ক ভূমিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা তিন-তিনটি প্রজন্মের জীবনী নির্ভর কাহিনি এই ছবির মূল উপজীব্য।

৫) ওয়্যার ডগস্ (War Dogs)

এই ছবি থেকে আপনি জানতে পারবেন আমেরিকায় কাজের বাজারের পরিস্থিতি সম্পর্কে। ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছে ওয়্যার ডগস্। এটি কমেডি ড্রামা। ছবির অন্যতম মুখ্য চরিত্র ডেভিড অন্নসংস্থান করতে খানিকটা হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে তিনি বিয়েও করে ফেলেছেন। এই সময়ে অনেক দিন পরে তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল এক পুরানো বন্ধুর সঙ্গ। এর পরে যুগ্মভাবে অস্ত্র ব্যবসায় নামলেন। তবে ছবির কাহিনী বেআইনি অস্ত্র ব্যবসা সম্পর্কিত গ্যাংস্টার মুভি কিন্তু নয়। সত্য ঘটনা নির্ভর এই ছবিটি পারলে দেখে নিন। কৌতূহলের নিরসন ঘটাতে দেথুন অস্ত্র ব্যবসা করে উপার্জিত টাকায় তারা শেষমেশ কী করলেন। পরিচালকের নাম টড ফিলিপস। এর আগে রোড ট্রিপ কিংবা হ্যাংওভারের মতো ট্রিলজি ছবি বানিয়ে যথেষ্ট নাম কামিয়েছেন এই পরিচালক।

সবশেষে একটি কথা বলতে চাই- উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠাতাদের জীবনের অকথিত কাহিনীই সবকটি ছবির উপজীব্য। ছবিগুলো শিক্ষণীয় এ কারণেই যে, একজন দর্শক হিসাবে আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন জীবনের কঠিন সময়টা কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়।

(তথ্যসূত্র ও ছবি ইন্টারনেট থেকে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here