মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

করোনাভাইরাস মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র, অসহায় মানুষের সহায়তার জন্য ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ এর পক্ষ থেকে সরকারকে ৫ কোটি টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এছাড়া এই ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পে আরও ৫ কোটি টাকা দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, সরকারের ‘করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সহায়তা তহবিল’ এবং ‘হাউস কনস্ট্রাকশন ফান্ড বাই প্রাইভেট ফাইন্যান্স’ নামে দুটি আলাদা তহবিলে এই অর্থ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেন, সারাদেশে ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার পাশপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও যেন মানুষ এগিয়ে আসতে পারে সেজন্য আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে একটি তহবিল গঠন করা হয়। সেই তহবিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ৫ কোটি টাকা দিলেন।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে লকডাউনে আয় হারানো, দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষকে সহায়তা প্রদান করে তাদের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশপাশি মুজিববর্ষে দেশের কোন মানুষ গৃহহীন,ভূমিহীন থাকবে না সরকারের এই ঘোষনা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ অব্যাহত রয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারীতে অসহায় মানুষকে সহায়তার অংশ হিসেবে গতকাল সকালে ৩৬ লাখ ৫০ হাজার নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

আগামী তিন দিনের মধ্যে এই নিম্ন আয়ের অসহায় দরিদ্র মানুষেরা প্রত্যেকে আড়াই হাজার টাকা করেন পাবেন।

মহামারীর প্রথম পর্যায়েও প্রধানমন্ত্রী সাড়ে ৩৬ লাখ মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন। এবারও তার নির্দেশে সেই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে কঠোর লকডাউন শুরু হলে সারাদেশের প্রতিটি এলাকাতেই বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শ্রমজীবী মানুষ ও প্রান্তিক জনপদের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক ৫৯০ কোটি টাকা মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করেছে। এই কার্যক্রম এখনও চলছে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার ত্রাণ তহবিল থেকে দরিদ্র, ছিন্নমূল মানুষের সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে আরও ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তার জন্যও প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।

এছাড়া হাওর এলাকায় ধানকাটা শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদ থেকে যে সমস্ত শ্রমিক ওইসব এলাকায় ধান কাটতে যান, তাদের সেখানে নিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশও সরকার প্রধান দেন।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here