প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত শিল্পোন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প সচিব কে এম আলী আজম।

তিনি বলেন, দেশে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে বিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সর্বাধুনিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। এ লক্ষ্যে আইসিটি বিষয়ক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ জোরদারের নির্দেশনা দেন তিনি।

শিল্পসচিব কে এম আলী আজম আজ ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিসিকের ৬৪ টি জেলা পর্যায়ে কর্মরত জনবলের জন্য আয়োজিত ‘ই-ফাইলিং’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। বিসিক আইসিটি সেল দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করে।

১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে শাহাদতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে শিল্প সচিব বলেন, আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জাতির পিতার চেতনাধারণ করে আগামী প্রজন্মের জন্য জ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের ধারা জোরদার করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে শিল্পসমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করার লক্ষ্যেই ১৯৫৭ সালে তৎকালীন ইপসিক তথা বর্তমান বিসিক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই শিল্প দর্শনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালে শিল্পোন্নত বাংলাদেশ বিনির্মিাণের গুরুদায়িত্ব বিসিক পরিবারের ওপর বর্তায়। তিনি ঐতিহ্যবাহী বিসিক পরিবারের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়ন কার্যক্রম জোরদার এর মাধ্যমে শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ অবদান রাখার পরামর্শ দেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সর্বাধুনিক জ্ঞান অর্জন ও প্রযুক্তিতে পারদর্শী হয়ে কর্মদক্ষতা বাড়াতে তিনি বিসিকের সর্বস্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান মোঃ মোশতাক হাসান এনডিসি বলেন, বিসিক প্রধান কার্যালয়ের ৯০ শতাংশ নথি বর্তমানে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। বিসিক প্রধান কার্যালয়ের সাথে ৪ টি আঞ্চলিক কার্যালয়, ৬৪ টি জেলা অফিস, ১৫ টি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ছয়টি মৌচাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে এই প্রশিক্ষণের পর ই-ফাইলিং পুরোদমে চালু হলে বিসিক অফিসগুলো শতভাগ ই-ফাইলিংয়ের আওতায় চলে যাবে।

এর মাধ্যমে বিসিক দ্রুততা ও দক্ষতার সাথে সাশ্রয়ী ব্যয়ে সেবা প্রদানে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিচালক ( প্রযুক্তি ও দক্ষতা) ড. মোহা. আব্দুস ছালাম, বিসিক সচিব মোঃ মফিদুল ইসলামসহ বিসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের ৬৪ টি জেলা কার্যালয়ের একশত জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অনলাইনে ‘ই-ফাইলিংয়ের বেসিক ও এডমিন লেবেল প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here