২০/২৫ ধরনের স্ন্যাক্স আইটেম নিয়ে কাজ করছেন নুসরাত জাহান

0
উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান

ইডেন কলেজ থেকে সমাজকল্যাণে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেন টাংগাইলের সখীপুরের মেয়ে নুসরাত জাহান। বাবা সরকারী কর্মকর্তা হওয়ায়,বাবার চাকরিসূত্রে বিভিন্ন জেলায় বেড়ে উঠেন এবং পড়াশোনা করেন।

বর্তমান সময়ে সবাই কম বেশি সোস্যাল মিডিয়াতে সময় কাটান। সেখানেই উই নামক একটি গ্রুপের সাথে পরিচয় হয় নুসরাতের। উইতে বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তাদের কাজগুলো নুসরাতকে অনুপ্রাণিত করে নিজে কিছু একটা করবার৷ বাসায় প্রচুর স্ন্যাক্স বানাতেন নুসরাত। তাই হঠাৎ করেই স্ন্যাক্স দিয়েই উদ্যোগ শুরু করলেন তিনি। নিজেই স্ন্যাক্স বানিয়ে স্টোরিতে দিতে শুরু করেন। পাশাপাশি ‘খুন্তি কড়াই’ নামে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম চালু করেন। স্টোরিতে দেয়া বিভিন্ন স্ন্যাক্স আইটেম দেখে আকৃষ্ট হয়ে এক বান্ধবি অর্ডার করে। প্রথম অর্ডারটি ছিল ২০ পিছ ফ্রোজেন সিংগাড়া আর ১ কেজি রেগুলার চানাচুর, সেই থেকে শুরু নুসরাতের উদ্যোক্তা জীবন।

শুরুর দিকে পুজি তেমন ছিলনা ৪/৫ শত টাকা দিয়েই শুরু করেন। মূলত নুসরাতের সিগনেচার আইটেম হচ্ছে হোমমেড চানাচুর। এটা ছাড়াও বিস্কুট, পাউন্ড কেক, নিমকি, মুরালি, মনাক্কাসহ প্রায় ২০/২৫ ধরনের স্ন্যাক্স আইটেম নিয়ে তিনি কাজ করেন। তবে চানাচুরে ফোকাস বেশি তার। কারন এটি ইউনিক আইটেম, এটা সহজে কেউ বাসায় তৈরী করেনা। চানাচুরের কারনেই তিনি বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। এ পর্যন্ত ঢাকাসহ ২৩টি জেলা শহরে তার পণ্য পাঠিয়েছেন। অর্ডারের উপর ভিত্তি করে মাসে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার এর মতো সেল হয়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “খুন্তি কড়াইকে একটা সময় ব্র‍্যান্ড হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।” পড়াশুনা শেষ করে চাকরি করতে হবে এমনটা নয়, যার যে কাজের প্রতি ভালবাসা আছে এবং কাজ করে আনন্দ পান – এমন কাজ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে সাফল্য আসবেই, এমনটাই মনে করেন উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান।

সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here