জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি সুস্বাদু ও রকমারি পিঠা নিয়ে শুরু হলো জয়িতা পিঠা উৎসব।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষ ও জয়িতার দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর চার দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে এই পিঠা উৎসবের। পিঠা উৎসবে রয়েছে জয়িতার ১৪ জন উদ্যোক্তাদের তৈরি পঞ্চাশের অধিক দেশীয় জনপ্রিয় পিঠার সমাহার।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে রাপা প্লাজায় জয়িতা ফুড কোর্টে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রধান অতিথি হিসেবে চার দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম ও শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা কারো দয়া চাই না। বেশি সুযোগ চাই না। তারা চাই সু্যোগের সমতা।
নারীরা তাদের মেধা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে অত্যন্ত সফলতার সাথে উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ লা ডিসেম্বর জয়িতা টাওয়ারের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন। তা হবে নারী উদ্যোক্তাদের স্থায়ী ঠিকানা।

তিনি এসময় উদ্যোক্তাদের নিজস্ব ও উন্নত মানসম্পন্ন পণ্য তৈরির আহবান জানান। জয়িতা বিক্রয় কেন্দ্রে উদ্যোক্তার নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে হবে। কোন অবস্থাতেই বাইরে থেকে ক্রয়কৃত পণ্য বিক্রি যাবে না বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরও বলেন, গ্রাম- বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতি পিঠা-পায়েসের আয়োজন। শীতকালেই পীঠার আয়োজন বেশি হয়ে থাকে। এসময় নতুন ধানে ভরে যায় গৃহস্থের বাড়ি। শীত আসার সাথেই নতুন চালের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারিকদিকে। সব মিলিয়ে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। এটাই বাংলার হাজার বছর ধরে চলে আসা হাসি, আনন্দ ও উৎসবের ছবি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশীয় পিঠা ও খাবারের এ রকম আয়োজন আরো বেশী করে করা দরকার। এর মাধ্যমে শহরবাসীর নিকট দেশীয় পিঠা ও খাবার জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। জয়িতার এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শহরের মানুষ দেশীয় পিঠা খাওয়ার সুযোগ পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, পিঠা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। দ্রুত নগরায়ণের ফলে অনেক পিঠা হারিয়ে যাচ্ছে। জয়িতা নারী উদ্যোক্তারা এই পিঠা শহরবাসীর নিকট তুলে ধরছে। এর মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছে। প্রতি পার্বণে জয়িতা ফাউন্ডেশন পিঠা উৎসব করতে পারে।

স্বাগত বক্তব্য দেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. আব্দুর রউফ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ সহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং নারী উদ্যোক্তাবৃন্দ।
মাসুমা শারমিন সুমি,
উদ্যোক্তা বার্তা