ফিনটেক-এ আরও উদ্ভাবন ও বিদেশী বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন প্রতিমন্ত্রী পলক

0

ফিনটেক ইকোসিস্টেম গড়তে সরকার এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট, ডিজিটাল আইডি ও আন্তঃ লেনদেন পরিকাঠামে গড়ে তুলেছে। একটি ইনোভেটিভ সল্যুশন বদলে দিতে পারে পুরো অবকাঠামো ও সেবার মান। তেমনি একটি সাহসী উদ্ভাবনী উদ্যোগ বিকাশ। ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ গেটওয়ে স্থাপনের ফলে এমএফএস প্ল্যাটফর্মের কাজকে সহজ করেছে। এসব তথ্য জানিয়ে দেশে আরো নবীন উদ্যোক্তানগড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মুনাফা করার পরিবর্তে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পরিসর বাড়ানোকে ডিজিটাল ব্যাংকগুলো ধ্যান-জ্ঞান মনে করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, ডিজিটাল ব্যাংক হবে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির বাহন।

শনিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার রেডিসন হোটেলে চতুর্থ বাংলাদেশ ফিনটেক সামিটে দেয়া বক্তব্যে ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য নির্ধারণ নিয়ে কুইনল্যান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের সিইও এবং ম্যানেজিং পার্টনার বেঞ্জামিন কুইনল্যান বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, অনুমোদন পাওয়া ডিজিটাল ব্যাংক মুনাফা অর্জনকে অগ্রাধিকার দেবে। তাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পসার ঘটানো।’

‘ডিজিটাল ব্যাংকের মূল প্রবণতা হওয়া উচিত এমন একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা; যেখানে ব্যাংকগুলো সামগ্রিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারীদের সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপন করতে পারবে স্বাচ্ছন্দ্যে। এই অংশীদারিত্ব তৈরিতে তাদের নেটওয়ার্ক এবং গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত স্মার্ট হতে হবে। তারা যদি এটি অর্গানিকভাবে করতে চায়, তাহলে অনেক টাকা খরচ করতে হবে,’ বলে যোগ করেন তিনি।

এছাড়াও এই ইকোসিস্টেমে আর্থিক পরিষেবা থেকে শুরু করে সম্পর্কিত অফারগুলো একটি ইউনিফাইড ইন্টারফেসের মধ্যে এনে বিভিন্ন গ্রাহকদের চাহিদা মেটানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন কুইনল্যান ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকগুলোর জন্য একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ল্যান্ডস্কেপ থাকলেও, APAC অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে প্রাথমিক সমস্যাগুলি এড়াতে দীর্ঘমেয়াদী পণ্য পরিকল্পনার প্রয়োজন৷

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে উন্নয়নশীল বাজারে ডিজিটাল ব্যাংকে ৯ থেকে ১০ বছর ব্যবসায় পরিচালনার পরে লভ্যাংশ আসতে শুরু করবে।

সম্মেলনে বিকাশের সিইও কামাল কাদির বলেন, বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ডিজিটাল সেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে। প্রতিদিন গড়ে ১২ মিলিয়ন লেনদেন হয় বিকাশের মাধ্যমে। এর মধ্যে, ৮ মিলিয়ন লেনদেন নিষ্পত্তি, যেমন মোবাইল রিচার্জ এবং ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট দেয়া হয়েছে। সুতরাং, আমি মনে করি বাংলাদেশে ডিজিটাল গ্রহণের হার সাধারণভাবে ভালো।

কাদির আরো বলেন, বিকাশের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক কর্তৃক প্রবর্তিত ডিজিটাল ঋণ গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ মানুষ ৪০০ কোটি টাকার তহবিল নিয়েছেন এবং অকৃতজ্ঞ ঋণের হার মাত্র ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বক্তব্যে ডিজিটাল সেবার উত্থানের মধ্যে আর্থিক অপরাধ ও কেলেঙ্কারিও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে বলে সতর্ক করেন বিডিজবস ডটকমের সিইও একেএম ফাহিম মাশরুর।

বাংলাদেশে ফিনটেক পণ্যের সাফল্য তুলে ধরে পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, বাংলাদেশি গ্রাহকরা পাঠাও-এর বিকল্পটিকে “আগে কিনে পরে মূল্য পরিশোধ করুন” খুবই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। “সুতরাং, আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য নমনীয় ব্যয় আনলক করতে ডেটা এবং বিশ্লেষণ ব্যবহার করার আমাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছি।”

এসময় ‘ডিজিটাল ব্যাংক লাইসেন্সের মাধ্যমে পাঠাও দেশের ডিজিটাল নেটিভ যুবক এবং প্রযুক্তি-সক্ষম ছোট ব্যবসার জন্য আর্থিক অ্যাক্সেস প্রসারিত করতে অনন্যভাবে অবস্থান করছে’ বলে দাবি করেন তিনি।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here