‘পাট শিল্পের অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’- প্রতিপাদ্য নিয়ে সোমবার (৬ মার্চ) নাটোর জেলায় জাতীয় পাট দিবস পালন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
সভায় বক্তারা বলেন, সোনালী আঁশের বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে চাহিদার শতকরা ৯০ শতাংশ কাঁচা পাট এবং শতকরা ৬০ শতাংশ পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে সর্বোচ্চ পাট রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশের জাতীয় রপ্তানি আয়ে একক কৃষি পণ্য হিসেবে পাট খাতের অবস্থান দ্বিতীয় এবং মোট জিডিপিতে অবদান ৪.৮৬ শতাংশ। দেশের ৪০ লক্ষ জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাট চাষের উপর নির্ভরশীল এবং মোট জনশক্তির এক-তৃতীয়াংশ বিভিন্নভাবে পাট ও পাট পণ্যের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন কর্মকাণ্ডে জড়িত।
বক্তারা আরো বলেন, পরিবেশ দূষণ রোধ এবং পাটের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সরকার ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ প্রণয়ন করেছে। এছাড়া পাট খাতের উন্নয়নে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে ইতোমধ্যে ১৯টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। বর্তমানে পাট থেকে কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, ভিসকস, চারকোল, গ্রিন টি, পাটের পলিথিন ইত্যাদি উৎপাদনের মাধ্যমে পাটের বৈচিত্রকরণ এবং সমৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সমৃদ্ধি অর্জন আরো জোরদার হবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।
নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) মোঃ নাদিম সারওয়ারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, পাট অধিদপ্তরের পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও মুখ্য পরিদর্শক মোঃ হাফিজুর রহমান।
এর আগে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা