একজন সংগ্রামী অপ্রতিরোধ্য নারীর প্রতীকী নাম জয়িতা। জয়িতা নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক। কেবল নিজের অদম্য ইচ্ছাকে সাথী করে চরম প্রতিকূলতাকে জয় করে জয়িতারা তৃণমূল থেকে সবার অলক্ষ্যে সমাজে নিজের জন্য জায়গা করে নিয়েছেন।
“জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক কার্যক্রম এর মাধ্যমে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনায় ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ(২৫ নভেম্বর হতে ১০ ডিসেম্বর) এবং বেগম রোকেয়া দিবস (৯ডিসেম্বর) উৎযাপন কালে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচার প্রচারনায় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করা হয়। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল জননী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী এমন ৫নারীকে দেওয়া হয় অদম্য জয়িতার খেতাব।

এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের সফল নারী তথা জয়িতারা অনুপ্রানীত হবেন তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্র হতে সমাজের অন্য সকল পিছিয়ে পরা নারীদের জন্যে দৃষ্টান্ত স্থাপনে সমগ্র মানব সমাজ নারী বান্ধব হবে এবং এতে করে সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করবে। নির্বাচিত জয়িতাগণ তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে সে সম্মান, স্বীকৃতি ও অনুপ্রেরণা পেয়ে যাবেন। জয়িতা সংম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তা সমাজের অন্য নারীদেরও অনুপ্রানীত করবে। অগ্রযাত্রায় সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে জয়িতাদের অগ্রসর হওয়ার পথ সুগম হবে। ফলশ্রুতিতে জেন্ডার সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে দেশের সুষম উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
২০২০ সালের জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন লিপি সাহা- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী; নওগাঁ সদর, শিল্পী জোয়ার্দ্দার- শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী; নিয়ামতপুর, মোছা: রাহেনা ইসলাম- সফল জননী নারী; নওগাঁ সদর, মোসা: রেশমী সুলতানা- নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী; বদলগাছী, ইস্ফাত জেরিন- সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী; সাপাহার।
উল্লেখ্য নওগাঁ সদরের লিপি সাহা একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে এর আগে জাতীয় এসএমই পুরস্কারসহ আরো অনেক স্বীকৃতি পেয়েছেন।
সাদিয়া সূচনা