বহুমুখী পাটপণ্যের চাহিদা বিশ্বব্যাপী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাটপণ্যের রপ্তানীকারক হিসেবে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য বহুমুখী পাটপণ্যের ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট অত্যন্ত জরুরী। আমাদের দেশে বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্যের ডিজাইন ডেভেলপমেন্টে যথেষ্ট দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। ফলে ভালো ডিজাইনের অভাবে উদ্যোক্তাদের পণ্যের উৎপাদন ও বিপনন সর্বোপরি ব্যবসা সংক্রান্ত উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাই উদ্যোক্তাদের পণ্যের মান সম্পন্ন ডিজাইন উন্নয়নে সহায়তা প্রদানকল্পে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)-এ ডিজাইন ব্যাংক ও ডিজাইন সাপোর্ট সেন্টার সুনির্দিষ্ট কর্মসূচীর ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে।

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০২ সালে JPDC (Jute Diversification Promotion Center) প্রতিষ্ঠিত হয়। পাটের বহুমুখীকরণ তথা পাটের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বহুমুখী পাট পণ্যের উৎপাদন ও এর ব্যবহার বৃদ্ধিতে সহায়তাকল্পে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুট ডাইভারসিফিকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়।

জেডিপিসি বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী উদ্যোক্তাদের ০৭টি জেইএসসি সেন্টার এর মাধ্যমে নিডবেস বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জেডিপিসির ৮০০ এর অধিক উদ্যোক্তা এবং ২৮২ প্রকার নিবন্ধনযুক্ত দৃষ্টিনন্দন বহুমুখী পাটপণ্য তৈরী করে দেশে বিদেশে বাজারজাত করে। পাটের বহুমুখী পণ্য দেশ ও দেশের বাইরে প্রচার ও প্রসার করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে জেডিপিসি।পাট পণ্য সামগ্রী প্রসারের পাশাপাশি পাট পণ্য উদ্যোক্তা তৈরী এবং উদ্যোক্তাদের উন্নত মানের বহুমুখী পাট পণ্য সামগ্রী উৎপাদন। বাজারজাতকরণ সহ সকল প্রকার কাজে জেডিপিসি সহায়তা করে থাকে। বিভিন্ন সময়ে দেশে ও বিদেশে উদ্যোক্তাদের নিয়ে পাট পণ্যের মেলার ব্যবস্থা করে থাকে জেডিপিসি।

জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর মাধ্যমে পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ ও ব্যবহারের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে দেশে জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আজকে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর সাথে oikko .com .bd সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেডিপিসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবুল কালাম এনডিসি, অতিরিক্ত সচিবও নির্বাহী পরিচালক , বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। জনাব মোহাম্মদ আলী, সমন্নয় কর্মকর্তা জেডিপিসি, ঐক্য উপদেষ্টা জনাব আমিরুল ইসলাম, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত (বহুমুখী পাট পণ্য) মিসেস শাহিদা পারভীন, ঐক্য ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে জনাব তানভীর আহমেদ তানিম,পরিচালক ঐক্য ফাউন্ডেশন, জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি,পরিচালক ঐক্য ফাউন্ডেশন এবং সুরাইয়া আলম,পরিচালক ঐক্য ফাউন্ডেশন। বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তাদের নিয়ে আজ থেকে ঐক্য ফাউন্ডেশন ও জেডিপিসির মধ্যে একসাথে কাজ করার পথ চলা শুরু হলো।

আজকের এই সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ঐক্য ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা জনাব আমিরুল ইসলাম বলেন- ঐক্য ফাউন্ডেশন এখন একটি পরিচিত নাম। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ঐক্য ফাউন্ডেশন এর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। ঐক্য ফাউন্ডেশন এখন একটি স্বপ্ন ও একটি আন্দোলনের নাম। নানামুখী কার্যক্রমের সঙ্গে ঐক্য ফাউন্ডেশন যখন মাইল কাজ করছে এটা এক ধরণের বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ঐক্য ফাউন্ডেশন ও জেডিপিসি তাঁর ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রচার ও প্রসারে এক সাথে কাজ করে যাবে বলে দৃঢ় আশা পোষণ করেন”।

জেডিপিসির মোহাম্মদ আবুল কালাম এনডিসি বলেন -” আজকে জেডিপিসি জন্য একটি মাহেন্দ্রক্ষণ। এই প্রকক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরণের পণ্য উদ্ভাবনী কার্জক্রমগুলি তুলে ধরার যে প্রয়াস নিয়েছে ,সেই প্ৰয়াসের সাথে জেডিপিসিতে যে নিবন্ধিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আছেন তাদের আমরা এই কার্যক্রমের সাথে যোক্ত করতে পারবো। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জেডিপিসি পাটের গৌরব স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বহুমুখী পাট পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে জেডিপিসি আয় করেছে এক হাজার চারশো কোটি টাকা। সবশেষে বলেন আজ ঐক্য ফাউন্ডেশন দেশের মানুষের মনে একটি স্পন্দন হিসেবে কাজ করছে”।

ঐক্য ফাউন্ডেশন ও জেডিপিসি আগামী দিনের পথ চলায় পাটপণ্যের রপ্তানী উপযোগী মান উন্নয়নসহ উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here