রাজধানীর শ্যামলী রেড রেস রেস্তোরায় কারুশৈলী কুটির শিল্প নারী উন্নয়ন সংগঠনের প্রজেক্ট-২ আয়োজন। এ আয়োজনে দেশের বিভিন্ন জেলার স্বপ্নদর্শী নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ছিলেন চার সফল নারী উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের সাফল্যের অর্জনের কৃত্বিত্ত তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতাগুলোকে দেন। উদ্যাক্তা হিসেবে নিজেদের সফলতার কথা উঠে আসে নতুন উদ্যোক্তাদের এ আয়োজনে। অনুষ্ঠান উদ্ভোধনের সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে প্রেরণার গল্প শুনিয়েছেন সফল নারী উদ্যোক্তা আনোয়ারা আক্তার শিউলী, খুর্শিদা জাহান, তেহেরিন তানি ও শারমিন আক্তার।
আনোয়ারা আক্তার শিউলী বলেন, প্রতিটি নারীকে উদ্যোক্তা বানাতে চাই। দ্বিতীয় প্রোজেক্টের উদ্যোগ নেওয়ার কারণ হচ্ছে, যারা উদ্যোক্তা ছিল অথবা হবে তাদের কেউ যাতে ব্যবসার হাল ছেড়ে দিয়ে হতাশায় না ভোগেন। তাদেরকে আবার জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছি। কি ভাবে উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যগুলো বিশ্বের বাজারে তুলে ধরা যায়, অন্য উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বাজারজাতকরণ আরো বাড়ানো এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
তিনি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি সবসময় আপনার মনের কথা শুনবেন। আপনারা যেমন নিজে কারো কাছে ঠকতে চান না, তেমনি অন্য কোনো উদ্যোক্তাকে ঠকতে দিবেন না। তাই যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে প্রথমে বোঝা পড়াটা আগে নিজের সাথে করেন।
উদ্যোক্তা খুরশিদা জাহান বলেন, আমি যে ভাবেই হোক ব্যবসায় চালিয়ে গেছি। সফলতা পাওয়ার জন্য কোন কঠিন রাস্তাকেই ভয় করিনি। হাল ছেড়ে দেওয়া কোনোভাবে উচিত নয়। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ধরে রাখতে হবে। লোকসান থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে লাভে পরিণত করতে হবে। আর এর জন্য আমি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য। আমার এই চেষ্টা সব সময় চলবে । প্রত্যেক নারীকে আলোকিত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
উদ্যোক্তা তেহেরিন তানি বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় এবং তাদেরকে ব্যবসায়িকভাবে পথ দেখানো যায় সে চেষ্টায় থাকেন সকল সফল উদ্যোক্তা। তাদের স্বপ্নগুলো পূরণ করার জন্য এবং আত্মবিশ্বাসী করার উদ্দেশ্যে নিয়ে আবার এলো প্রজেক্ট ২ ।অনুষ্ঠান আয়োজন এর কারণ হলো, নারীদের স্বাবলম্বী করার সহজ উপায় বের করে দেওয়া হবে ও তাদের কে সহযোগিতা করে দেশ ও দেশের বাহিরেও উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করা হবে।
উদ্যেক্তা শারমিন আক্তার বলেন, নতুন উদ্যেক্তা তৈরির অন্যতম পথ তাদের উৎসাহিত করা। তাদের জন্য উদ্যোগের প্রথম লক্ষ কি ছিলো। আমি চাই সবাই পুরনো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারাও যেন সৃজনশীলতার সঙ্গে দেশীয় পণ্য ও হস্তশিল্প সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যান।
নতুন উদ্যোক্তদের উদ্দেশ্যে সফল এই চার নারী বলেন, সব কাজেই সমস্যা আছে। মেয়েদের একটা বড় সমস্যা ছিল কেউ কাউকে চিনতো না। ফেসবুকের মাধ্যমে বাস্তবে চেনা-জানার থেকেও বেশি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক হতে পারে, সেটা কিন্তু নারী উদ্যোক্তারা প্রমাণ করতে পেরেছে। সবচেয়ে ভালো যেই ব্যাপারটা, এক বছর আগেও অনলাইনে এমন গতিতে ছিলো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যম এখন অনেক বড় একটি অংশ।
মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা ঢাকা