‘Development of SMEs in Bangladesh: Lessons from German Experiences’
শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ। ২৩ নভেম্বর ২০২০, সোমবার এসএমই ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘Development of SMEs in Bangladesh: Lessons from German Experiences’’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এই গবেষণায় সহায়তা করে জার্মান সংস্থা Friedrich-Ebert-Stiftung (FES)  Bangladesh এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি এবং বাংলাদেশের জার্মানির রাষ্ট্রদূত Peter Fahrenholtz।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম এবং বক্তব্য রাখেন এফইএস, বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি টিনা ব্লুম। গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলীলী এবং প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা করেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী এবং সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৯৮ ভাগের বেশি এসএমই। ৮৪ ভাগের বেশি এসএমই প্রতিষ্ঠান গ্রামে অবস্থিত এবং ৮০ ভাগের বেশি কুটির শিল্প। শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের ৮০%-৮৫% এসএমই খাতের অবদান। এই বিবেচনায় অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান বিবেচনায় বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ জার্মানির অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজে লাগাতে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতাসমূহের মধ্যে রয়েছে, অর্থায়ন স্বল্পতা, ঋণের সুদের উচ্চ হার, দক্ষ-স্বল্পদক্ষ কর্মীর স্বল্পতা, নতুন কর্মী কাজে না লাগানো, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযোগ না থাকা, কার্যকর ব্যবসার নেটওয়ার্ক না থাকা, তথ্যের অভাবে উৎপাদন ও বিপণন বাধাগ্রস্ত হওয়া, সরকারি সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, এসএমই ক্লাস্টারগুলোতে জায়গার স্বল্পতা এবং ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজে স্বল্প সাব কন্ট্র্যাক্টিং চর্চা।

এসব বিবেচনায় গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে জার্মানি থেকে যেসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুপারিশ করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে, নীতি সহায়তা এবং কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে এসএমই খাতকে সচল রাখা, কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি ব্যবহার বিবেচনায় এসএমই খাতের শ্রেণী বিন্যাস করা, ভিন্ন ভিন্ন এসএমই খাতের জন্য আলাদা নীতি সহায়তা, এসএমই খাতের জন্য সহায়ক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এসএমই খাতের কারিগরি উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ, শক্তিশালী কারিগরি শিক্ষা এবং শিক্ষানবীশ ব্যবস্থা চালু, সার্বজনীন মজুরি ব্যবস্থা, অতি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বেশি মনযোগ, ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজের সাথে মিলিয়ে ক্লাস্টারভিত্তিক উন্নয়ন, বিশ্ব প্রতিযোগিতার সাথে সংযোগ তৈরি, উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং সাব কন্ট্র্যাক্টিং।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলীলী’র নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণা দলের অন্য সদস্যরা হলেন, ড. মো. জামাল উদ্দিন, ড. মো. শরিয়ত উল্লাহ এবং ড. মো. তারেক। এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে এই গবেষণা তদারকি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. এম মাহবুব রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, এসএমই খাতের ওপর নির্ভর করে জার্মানির এগিয়ে নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক। বাংলাদেশের মোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯% এর বেশি এসএমই প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিতে মাত্র ৪০% অবদান প্রমাণ করে, এই খাতের দক্ষতা উন্নয়নে নজর দেয়া প্রয়োজন।

ওয়েবিনারের সভাপতি এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই নীতিমালা ২০১৯ ও সরকারের বিভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়ন, উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও তাদের প্রতিষ্ঠানের কারিগরি উন্নয়নে কাজ করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here