৫০ জনেরও বেশি উদ্যোক্তা দেখালেন প্লাস্টিকমুক্ত জীবনযাপন সম্ভব

0

ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের তৈরী একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাষ্টিক পণ্যের বিকল্প পণ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে আয়োজিত হয়েছে দেশের সর্বপ্রথম একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকমুক্ত মেলা।

এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো ঢাকা ও রংপুর শহর এবং বেতগাড়ি ইউনিয়ন এই তিনটি স্থানে মেলার আয়োজন করে। ঢাকা শহরে, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে ২৫ ও ২৬ মার্চে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্লাস্টিকমুক্ত বিকল্প পণ্যগুলো প্রদর্শন করা এবং জনগণকে জিরো ওয়েস্ট জীবনযাপনে উৎসাহিত করাই ছিল এই মেলার মূল লক্ষ্য। দুই দিনব্যাপী এই মেলায় বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ মেলাটি উপভোগ করেছে। তিনটি স্থানে প্রায় ৫০টির মতো স্টল স্থাপন করা হয়েছিল এবং প্রদর্শিত সকল পণ্যগুলো ছিল পরিবেশবান্ধব।

বিভিন্ন ছোট এবং মাঝারি উদ্যোক্তা এবং প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য প্রস্তুতকারীরা তাদের পণ্য যেমন মাটির গয়না, পাতার তৈরী পাত্র, কাগজের কাপ, হস্তশিল্প, কাঠের কারুকাজ, মাটির পণ্য বা মৃৎশিল্প, সুতার দোলনা এবং ব্যাগ, মাটির কারুশিল্প ইত্যাদি প্রদর্শন করেছে। এই মেলাটিতে পণ্য ক্রয়- বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও কোনো ধরণের প্লাস্টিক প্যাকেজিং ব্যবহার হয় নি।

এছাড়াও মেলায় জিরো ওয়েস্ট এবং হোম কম্পোস্টিং উপর তথ্যচিত্র, ছাদ বাগানের উপর তথ্য, এবং বাড়িতে কীভাবে সহজেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা যায় তা প্রদর্শিত করা হয়েছে। মেলায় আরও ছিল সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকমুক্ত ঘরে বানানো খাবারের স্টল।

প্লাস্টিকের বিকল্প প্রস্তুতকারী জনাব রিন্টু মেলায় সুতার দোলনা এবং ব্যাগ প্রদর্শন করেন। তার মতে, “একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যাগ পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের প্রতিনিয়ত ক্ষতি করছে। বিকল্প পণ্যগুলো বাজারে সহজে পাওয়া গেলে প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করা যেতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা বিকল্প ব্যাগগুলোকে আবার জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছি এবং এই মেলা অবশ্যই তা প্রচারের ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে।”

আরেকজন উদ্যোক্তা সাজেদুর রহমান মেলায় অংশগ্রহণ করেন ও কাগজের তৈরী কাপ প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, “বর্তমানে চা পান মানুষের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে, এবং রাস্তার আশপাশে অনেক চায়ের দোকান দেখা যায় যেখানে স্বল্পমূল্যের কারণে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের কাপে চা বিক্রি হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “যদি এই প্লাস্টিকের কাপগুলির উপর কর আরোপ করা যায় তবে এই কাপগুলির দাম বাড়বে, এবং কাগজের কাপের প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।”

মেলায় লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থী, জিরো ওয়েস্ট প্রকল্পের সুবিধাভোগী, সিবিও সদস্য, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, কমিউনিটির মানুষ এবং সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকায় মেলাটি উল্লেখযোগ্য সাড়া পেয়েছে এবং এর আগে বেতগাড়ি ইউনিয়নে ২০২২ সালের ৭ ও ৮ জানুয়ারীতে গঙ্গাচড়া উপজেলার শাহপাড়া কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এবং ২৪ ও ২৫ মার্চ তারিখে রংপুর শহরে একই ধরণের দুইটি মেলা সাফল্যের সাথে আয়োজিত হয়েছিল।

ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here