২ কোটি ২৭ লাখ স্মার্ট কার্ড পাচ্ছে কৃষক পরিবার

0

বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এর অর্থায়নে দেশের কৃষি উন্নয়নে এখন পর্যন্ত নেওয়া সবচেয়ে বড় প্রকল্পে ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩২১টি কৃষক পরিবারকে ‘কৃষক স্মার্ট কার্ড’ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল কৃষি সেবার সম্প্রসারণ করা হবে। ‘পার্টনার’ নামে সরকারের নেওয়া একটি মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১১অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। প্রোগ্রাম অন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) নামের এ প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।

কর্মশালায় জানানো হয়, পার্টনার প্রকল্পটি পাঁচ বছরে বাস্তবায়ন করা হবে। ৬৪ জেলার ৪৯৫ উপজেলায় এ বছরের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ১৫১ কোটি টাকা। আর প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ও ইফাদ দিচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন ৭টি সংস্থা তাদের নির্ধারিত কার্যক্ষেত্রে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রধান সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরও ৮টি সংস্থা এই প্রকল্পে কৌশলগত সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
প্রকল্পের আওতায় ই-ভাউচারে কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া হবে। কৃষকদের জন্য তৈরি হবে কৃষক ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম। মোবাইল প্ল্যান্ট ক্লিনিকের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবাকে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। ড্রিপ, স্প্রিংকলার, এডব্লিউডি ও ভূগর্ভস্থ সেচ নালাসহ সৌরশক্তি ব্যবহার করে সেচের পানি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে পানির অপচয় হ্রাস করা হবে।

প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। এ সময় বিশ্বব্যাংক ও ইফাদকে ধন্যবাদ জানান তিনি। অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য তিনি প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

প্রকল্পটির মাধ্যমে ৩ লাখ হেক্টর ফল ও সবজির আবাদি জমি বাড়ানো হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত সহনশীল উচ্চফলনশীল নতুন ধানের জাত ও অন্যান্য দানাদার ফসলের জাত উদ্ভাবন করা হবে। উন্নত ও দক্ষ সেচ প্রযুক্তির মাধ্যমে ১ লাখ হেক্টর নতুন আবাদি জমি সেচের আওতায় আনা হবে।

ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here