বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকতে হলে চাই সামনে এগিয়ে যাবার অবিরাম প্রচেষ্টা। ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আধুনিক এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে নিত্যনতুন উদ্যোগে কর্মসংস্থান তৈরী করতে হবে বিপুল জনশক্তির জন্য। প্রতিযোগিতার বাজারে বেকার সমস্যা যাতে আঘাত না হানে তাই তো এগিয়ে আসতে হবে তরুণ সমাজকে।

বেকারত্বের সমস্যা দূরীকরণে প্রয়োজন নতুন কর্মক্ষেত্রের সৃষ্টি। আর এ থেকেই উদ্যোক্তার ধারণা প্রকাশ পায়। বাংলাদেশের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘অন্টারপ্রেনিওরশিপ’ বা ‘উদ্যোগ’ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রেগুলার কোর্স ও রিসার্চ বেইজড কাজ হচ্ছে।

সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে আয়োজিত হয় “অন্টারপ্রেনিওরশিপ ফেস্টিভ্যাল ২০১৯”। এ ফেস্টিভ্যালে অংশ নেয় হোম ইকোমনিক্স কলেজের রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এন্ড অন্টারপ্রেনিওরশিপ ডিপার্টমেন্টের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এটি ছিল তাদের স্নাতকের একটি বিষয় সম্পর্কিত ব্যবহারিক কার্যক্রম। মেলার সামগ্রিক আয়োজনের নেতৃত্বে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ড. সামসাদ খোরশেদ। বিভিন্ন স্টলে অংশগ্রহণকারীরা তাদের নিজের হাতে তৈরি কাগজশিল্প থেকে শুরু করে অলংকার, পেইন্টিং, লাইট জার, পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন পণ্য, মাটির তৈরি শো-পিস ইত্যাদি উপস্থাপন করে তাদের স্টলগুলোতে। এছাড়াও মেলা উপলক্ষে কিছু স্টল আয়োজন করেছে টক, ঝাল, মিষ্টি বিভিন্ন ধরণের খাবারের। সকাল ১০টায় মেলার প্রধান অতিথি কলেজ অব হোম ইকোনোমিক্স এর অধ্যক্ষ প্রফেসর ইসমত রুমিনা অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়ন এবং উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন, যার ফলে আমরা ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এই ধরণের মেলার মাধ্যমে হাতে কলমে উদ্যোগ এবং উদ্যোক্তা বিষয়ে শিক্ষা দিচ্ছি।”

অন্টারপ্রেনিওরস ক্লাব, কলেজ অব হোম ইকোনমিক্সের সভাপতি সামসুন নাহার সুমা বলেন, এই ক্লাবের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা সদস্যদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে এবং উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে উদ্বুদ্ধ করছি। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তানজিলা তাহসিন বলেন, এই ধরণের ফেস্ট, সেমিনার, ট্রেনিং এর মাধ্যমে আমরা ক্লাবের সদস্যদের উদ্যোগের জগতে পদচারণ করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মেলায় ছাত্রীরা নিজেদের পণ্য বিক্রি করেন এবং স্বল্প পুঁজির সাহায্যে ভালো একটি লাভের অংশ নিয়ে তারা মেলা শেষ করেন। মেলায় শিক্ষার্থীদের এমন দায়িত্বশীল অংশগ্রহন দেখে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সোনিয়া বেগম বলেন, “আমরা আশা করি এ ধরণের মেলাগুলো থেকেই আমরা খুঁজে পাব আমাদের ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা। তারা এখান থেকে যা শিখছে একদিন তা কাজে লাগাতে পারবে বলে আমি আশা করি।”

 

সাদিয়া সূচনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here