‘সুলতানা’স ড্রীম’ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্তি উদযাপন

0

শত বছরের আগে রোকেয়া সাখাওয়াত এর লেখা সুলতানা’স ড্রিম বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে ধ্রুপদি নারীবাদী কল্পকাহিনির একটি অংশ যা ১৯০৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এ উপন্যাসে কেবল নারীর ক্ষমতায়নই নয়, পরিবেশ ও জলবায়ুর বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর ‘বিশ্বস্মৃতি’ বা ‘ওয়ার্ল্ড মেমোরি’র তালিকায় স্থান পেয়েছে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা নারীর মুক্তিপ্রত্যাশী উপন্যাস ‘সুলতানা’স ড্রিম’।

গত ৩০ মে, বুকল্যান্ড লাইব্রেরি ‘সুলতানা’স ড্রীম এর ইউনেস্কো স্বীকৃতি প্রাপ্তি উদযাপন করে।

এই উপলক্ষ্যে বুকল্যান্ড শতাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি এবং রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ক, খ এব গ ৩ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা উৎসব মুখর পরিবেশে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জনাব মফিদুল হক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা, কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কবি মিনার মনসুর।

উক্ত আয়োজনে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর জীবনী এবং তাঁর লেখা সুলতানা’স ড্রীম সম্পর্কে আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়৷

৮ থেকে ১০ মে মঙ্গোলিয়ার উলান বাটোরে অনুষ্ঠিত হয় ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড কমিটি ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’ বা মৌক্যাপের দশম সাধারণ সভা। সভায় সুলতানা’স ড্রীম এর ইউনেস্কো স্বীকৃতি প্রদান করে। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ স্বীকৃতি গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।

উক্ত আয়োজনে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট এবং ক্রেস্ট তুলে দেন উপস্থিত অতিথিগণ।

সুলতানা’স ড্রীম ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে বাংলা অঞ্চলে নারী স্বাধীনতার অন্যতম পথিকৃৎ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ঐতিহ্যগত উত্তরাধিকারের স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ। সংস্কৃতির যথাযথ চর্চা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট গুণীজনরা৷
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তাবার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here