সুই সুতোয় বুনোনে শুভ-তনুর ‘তনুশা’

0

গত ১ বছর থেকে তারা কাজ শুরু করেছেন । প্রথম দিকে হুপ আর্ট, ওয়ালমেট থেকে শুরু করলেও পরবর্তীতে হাতে কাজ করা পাঞ্জাবি এবং হাতে কাজ করা মেয়েদের পোষাক তাদের কর্মযজ্ঞে যুক্ত করেছেন।

উদ্যোক্তা দম্পতি দুজনই শিক্ষার্থী এবং কাজগুলোর জন্য অনেক সময় এবং ধৈর্য্যের প্রয়োজন তাই যাত্রাপথে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ চালিয়ে যাওয়াটা প্রথমে বেশ কঠিন ছিল বলা যায় । কিন্তু লকডাউনের সময়টা ভালোভাবেই ব্যবহার করতে পেরেছেন তারা এ কাজের জন্য । লকডাউন সময়ে নিজেদের উদ্যোগকে আরও বড় করেছেন তারা। তাদের কাছে উদ্যোক্তা হওয়ার অনুভুতি জানতে চাইলে বলেন, “প্রথমদিকে অনেকে অনেক কথা বললেও আমাদের কাজের কোয়ালিটি এবং নিজস্বতা সবাইকেই মুগ্ধ করেছে।ফলে সবাই আমাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছে।”

“উদ্যোক্তা হতে চাওয়াটা অনেক আগে থেকেই কেনো যেনো একটা টান অনুভব করতাম এবং ভালোবাসা কাজ করত।তাই দুজনের নাম থেকে এই নাম টা দেয়া। পাশাপাশি আমার স্ত্রী ইসরাত খান তনুর অসম্ভব কর্মস্পৃহা ও আগ্রহ তনুশার অগ্রগতির পেছনে অসম্ভব ভাবে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।”

সাব্বির হোসেন শুভ’র কাছে তাদের এই কর্মস্পৃহার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। তাদের ক্রেতারা যখন তাদের পণ্যের অনেক ভালো রিভিউ দেন তখন সেটা হয়ে উঠে তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের এই সময় বেশ ধন্য মনে করেন এই দম্পতি।

একজন উদ্যোক্তা হিসেবে এই দম্পতির চাওয়া হলো আরও কিছু বেকার দের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। এছাড়াও সামাজিক ভাবে উদ্যোক্তা দের মূল্যায়ন বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে চান এই দম্পতি যাতে করে শিক্ষিত তরুনরা উদ্যোগ নিতে এগিয়ে আসে।

এই শিক্ষিত, তরুন উদ্যোক্তা দম্পতি স্বপ্ন দেখেন অনেক বড়। তাদের দেশের উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তাদের নিয়ে চমৎকার চিন্তাধারা রয়েছে। তারা স্বপ্ন দেখেন দেশের এগিয়ে যাওয়ার, উদ্যোক্তাদের অনেক বড় হওয়ার।

বর্তমানে দেশে যে পরিমাণে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে তাতে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে উদ্যোক্তা তৈরীর পেছনে আমাদের কে অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে।

সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here