সিই সার্টিফিকেট অর্জনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে মান সম্মত মাস্ক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করব বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০১৮’ পুরস্কার বিজয়ী মোহাম্মদ গাজী তৌহিদুর রহমান।
দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণে উদ্যোক্তা গাজী তৌহিদুর রহমান অটোমেশন মেশিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি করছেন সার্জিক্যাল মাস্ক। যা সুলভ মূল্যে দেশবাসীরা বাংলাদেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের সর্ববৃহৎ অনলাইন মার্কেট http://www.oikko.com.bd এবং ঐক্য স্টোর থেকে ক্রয় করছেন।
সম্প্রতি এফ এম প্লাস্টিক সিই সার্টিফিকেটে ভূষিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উদ্যোক্তা তৌহিদুর রহমান উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, “উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সিই সার্টিফিকেট আবশ্যক একটা বিষয়। পণ্য শনাক্তকরণ, পণ্য যাচাইকরণ, পণ্যের গুণগত মান, পণ্যটি জাতীয়ভাবে মান পূরণ করে কি না, ইউরোপীয় দিকনির্দেশ, ইউরোপীয় মান, প্রযুক্তিগত ডকুমেন্টেশন, পণ্যের কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদির মাধ্যমে সিই প্রশংসা পত্রের মাধ্যমে সার্টিফিকেট দেয়। যে অর্জনে আমরা ভূষিত হয়েছি।”
বর্তমান সময়ে বিশ্বের কোন কোন দেশে থ্রি লেয়ার মেডিকেল মাস্ক সরবরাহ করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও কানাডায় অল্প পরিমাণে গিয়েছে।
‘সিই সার্টিফিকেট পাওয়ার বড় বেশ কিছু বড় অর্ডার নিয়ে কথা চলতেছে। সিই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও বেশি মাস্ক সরবরাহ করতে পারব বলে আশা রাখি, যোগ করেন উদ্যোক্তা তৌহিদুর।’
এফ এম প্লাস্টিক ফ্যাক্টরির মাস্ক উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে উদ্যোক্তা তৌহিদুর বলেন, ‘মাস্ক উৎপাদনের আগে আমাদের একটা গবেষণা দল ছিল যারা বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে জেনেছে এন-৯৫ এবং সার্জিক্যাল মাস্ক সবচেয়ে বেশি উপযোগী। সার্জিক্যাল মাস্কে আমরা তিনটা লেয়ার ব্যবহার করছি। এটার মধ্যে আমরা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ফেবিক্সও যোগ করতে পারি।’
‘দেশে আগে ম্যানুয়্যাল সিস্টেমে মাস্ক তৈরি হতো নন ওভেন ব্যাগে চাপিয়ে, যা অস্বাস্থ্যকর ছিল। আমরা ডিজিটালি করছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা মাস্ক তৈরি করছি। আমাদের মাস্ক তৈরির কর্মীরা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিজেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সুরক্ষিত থেকে সামাজিক দুরত্ব মেনে সকল প্রকার মাস্ক বানাচ্ছে। কর্মীদের জন্য ফ্যাক্টরিতে থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। তাদের বাহিরেও যেতে হচ্ছে না। তাছাড়া আমাদের মাস্কের ফেবিক্স অত্যন্ত উন্নতমানের। প্রতিটি মাস্কেই নোজ বার আছে। আমরা আমাদের মাস্কগুলো বিশ্বমানের বলতে পারি।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধেই কি মাস্কের বাণিজ্যিক উৎপাদনের কথা ভেবেছিলেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ এর শুরুতেই চিন্তা ছিল এর সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। তাই আমি চিন্তা করেছি আমাদের মাস্ক দরকার, মাস্ক ছাড়া আমরা বাড়ির বাইরে যেতে পারব না। তাই দেশে যখন করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা দিল তখন আমরা চিন্তা করলাম কিভাবে আমরা আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ভালোমানের মাস্ক উৎপাদন করতে পারি। তো আমরা মার্চের প্রথম দিকেই চীনে মাস্ক তৈরির একটা অটোমেশন মেশিন বাছাই করি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বিমানে করে মেশিনটি দেশে নিয়ে আসি।’’
‘এর মধ্যে দেশে যারা মাস্ক বিক্রি করছিল তারা কিন্তু বেশি দামে বিক্রি করছিল যা আমার কাছে মনে হয়েছে এটা দেশবাসীর জন্য চড়া দাম। তাই আমি স্বল্প মূল্যে দেশবাসীর জন্য মাস্ক তৈরি করছি।’
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা