সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাজশাহী নগরী দেখে মুগ্ধ চীনা রাষ্ট্রদূত

0

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। বৃহস্পতিবার নগর ভবনে মেয়রের দপ্তরকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, চীন বর্তমানে আমাদের অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম একটি দেশ এবং অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। বেশিরভাগ বড় বড় অবকাঠামো তাদের কোম্পানি বা তাদের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা উপকৃত হবো।

তিনি জানান, সৌজন্য সাক্ষাৎকালে চীনা রাষ্ট্রদূত রাজশাহী মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ।

মেয়র বলেন: ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ও চায়নার মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী পদ্মা নদীর পানি পাম্প করে গোদাগাড়ী পৌরসভা, কাটাখালী পৌরসভা, নওহাটা পৌরসভা এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। এটা এখন সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে। সবশেষ একটা প্রক্রিয়া সই হলেই চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক প্রথম কিস্তিটি ছাড় করবে।

রাসিক মেয়র আরও বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সলিড বর্জ্য যেগুলো আমরা ট্রিটমেন্ট না করে ফেলে দেই, সেগুলো সারা বিশ্বে বিশেষ টিটমেন্ট করে রি-ইউজের মাধ্যমে জ্বালানি ও জৈবসার তৈরি করা হয়। আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীন সরকার ও সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একইভাবে শহরের যতো বর্জ্য পানি তা ড্রেনের মাধ্যমে বাইরে দিয়ে দেই। তবে তা ট্রিটমেন্ট করে কৃষি কাজে ব্যবহারের উপযোগী করার বিষয়েও কথা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা প্রস্তাবনা চেয়েছে।

রাসিক মেয়র বলেন, বাংলাদেশের জুটমিল, সুগারমিল, টেক্সটাইল মিল যেগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে; সেগুলো চায়না সরকারের সাথে চুক্তি করে ইজারাভিত্তিক নতুন করে পরিচালনার সুযোগ রয়েছে। চায়না এ বিষয়ে প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সরকার যদি প্রস্তাব দেয়, তবে তারা তা গ্রহণ করবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, রাজশাহীতে খুব স্বল্প সময়ের জন্য সফরে এসেছি। এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী নগরী ঘুরে আমি মুগ্ধ। রাজশাহী গ্রিন এবং ক্লিন সিটি। এই শহরের খুব উজ্জ্বল ভবিষ্যত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিভাগের পাবনায় অবস্থিত ইপিজেডে চায়নার পাঁচটি কোম্পানি কাজ করছে, ছয়টি কোম্পানি আসছে। আরও কোম্পানি বাংলাদেশের এই অংশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী। বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো পরিবেশ থাকায় আমরা আগ্রহী হচ্ছি। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে চায়না সরকারের অবদান ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দু’ দেশের সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে।

বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূতকে রাজশাহীর ঐতিহ্যা আম আকৃতির শুভেচ্ছা স্মারকসহ সৌজন্য উপহার দেন রাসিক মেয়র। সেসময় রাসিক মেয়রকেও সৌজন্য উপহার দেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

এর আগে চীনা রাষ্ট্রদূতের আগমনে নগর ভবনের প্রধান ফটকে রাসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বর্ণাঢ্য আয়োজনে চীনের রাষ্ট্রদূতকে বরণ করে নেওয়া হয়।

সেসময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিন, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, জোন কাউন্সিলর উম্মেল সালমা বুলবুলি, আয়েশা খাতুন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাডভাইজার আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here