বাসা, বারান্দা, ছাদ বা অফিসকে প্রকৃতির মতো করে  দিয়ে রাঙাতে কাজ করছে বাগান-বাড়িডটকম গ্রাহকের  বৃক্ষরাজি চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের জায়গায় সবুজে সাজিয়ে দিচ্ছে তারা। বাগাান-বাড়িডটকমের নিজস্ব স্থাপত্য নকশার দক্ষ এবং অভিজ্ঞ গার্ডেনার দ্বারা গ্রাহকের বাড়ির ছাদে অথবা লনে যে কোনো ধরণের বাগান করতে সাহায্য করছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত ১২০টি গার্ডেনিং প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করেছে।

বাগান-বাড়িডটকম’র মূল উদ্যোক্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আকাশ। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) থেকে বিবিএ করেছেন। ছোটবেলা থেকেই আকাশের ভাবনা চাকরি করবেন না, নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন পরিকল্পনা বড় হয়ে ব্যবসা করবেন।

কারো অধীনে কাজ করবেন তা চিন্তাও করতেন না। মাথার মধ্যে সব সময় ব্যবসার চিন্তা ঘোরপাক খেত আকাশের। সবাই যখন ড্রেস, গহনা নিয়ে ব্যবসা করছে তখন আকাশ নিয়ে নিয়ে এলো বাগান-বাড়িডটকমের মতো ভিন্নধর্মী উদ্যোগ। 

কিভাবে বাগানের মতো একটি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ কাজ করার ইচ্ছা হলো জানতে চাইলে আকাশ উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ব্যবসা করতে হবে ভিন্নতা নিয়েই, এমনটাই শুরু থেকে ইচ্ছা ছিল, একদিন বাল্যবন্ধু স্থাপত্য প্রকৌশলী সোহাগের সঙ্গে ভিন্নধর্মী ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলাম।

তখন আকাশ জানাল, ওরা যখন কোন ভবনের নকশা করে তখন ভবনের ছাদ, লন কিংবা বারান্দায় বাগানের জন্য আলাদা একটা নকশা করে। কিন্তু তাদের নকশা অনুযায়ী কেউ বাগানটাকে ফুটিয়ে ‍তুলতে পারে না। বিষয়টি আমার ভাল লাগল, দেশে এমন প্রতিষ্ঠান তেমন নেই, আবার ব্যবসাটাও ভিন্নধর্মী। তাই বসে না থেকে কাজে লেগে পড়লাম।

আকাশ বলেন, বাগান বাড়ি নাম দিয়ে ২০১৮ সালের পহেলা এপ্রিল ব্যবসার যাত্রা শুরু করি। লক্ষ্য ছিল প্রতিষ্ঠানের এমন একটা নাম দিব মানুষ যেন নাম শুনেই বুঝতে পারে প্রতিষ্ঠানের পণ্য এবং সেবা কি হতে পারে? তখন আমরা বাগান-বাড়িডটকম নামটি ঠিক করি। পরে রেজিস্ট্রার করে বাগান-বাড়িডটকম লিমিটেড হয়। শুরুটা ছিল ৮ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে। বর্তমানে বাগান-বাড়িডটকমের প্রাতিষ্ঠানিক মূলধন ৫৫ লাখ টাকা।

আকাশ বলেন, শুরুতে ২ জন কর্মী নিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে কোম্পানিতে ১৪ জন কর্মী কাজ করেন।বাগান-বাড়িডটকমে পাওয়া যায়, ওয়ান স্টপ গার্ডেনিং সল্যুশন। যেখানে বাগান সম্পর্কিত সকল প্রকার পণ্য এবং সেবা পাওয়া যায়। এখানে ৪৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৩ লাখ টাকা দামের গাছও আছে। বাগান-বাড়িডটকম এখন পর্যন্ত ১২০ টার মত গার্ডেনিং প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছে এবং ৬ টি চলমান প্রক্রিয়ায় আছে।

ব্যবসা করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীনও হয়েছেন আকাশ, ব্যবসা করতে গেলে বিভিন্ন ধরণের বাধা আসবে এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশে যেহেতু এই ধরণের প্রতিষ্ঠান নেই তাই আমদের পথটা অনেক কঠিন ছিল। বিশেষ করে নার্সারি মালিকদের এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসাটা অনেক বেশী ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ক্রেতাদের ম্যানেজ তো আছেই।

ব্যবসা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আকাশ উদ্যোক্তাবার্তাকে বলেন, ‘ঢাকাতে বর্তমানে প্রায় ৪৫ লাখের উপর বিল্ডিং রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১ লক্ষ ছাদে বাগান করা, সবুজ ঢাকা গড়তে বিশেষ অবদান রাখা এবং বাংলাদেশের টপ লিডিং আইটি বেজ কোম্পানি হওয়া।’

খাদিজা ইসলাম স্বপ্না 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here