তৃণমূল পর্যায়ে শ্রমঘন শিল্পায়নের ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনকল্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই বিসিকের সৃষ্টি। ‘দিন বদলের সনদ’ থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ কে বাস্তবে রুপ দিয়ে আজকের ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিল্পখাতসহ সকল দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্পখাতের অগ্রযাত্রায় রোল মডেল হয়ে আর্বিভুত হচ্ছে বিসিক নামের প্রতিষ্ঠানটি।

দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় জনবল অভাবে পুরাতন ধ্যান ধারণা নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে চলছিল বিসিকের কার্যক্রম। ঠিক এই সময়ে বিসিক এর বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মোশতাক হাসান, এনডিসি, বিসিকে যোগদানের পর পুরাতন ধ্যান ধারণার ব্যাপক পরিবর্তন ও পরিমার্জন নিয়ে আসেন। যার মধ্যে ছোট ছোট ১০ একর ভিত্তিক শিল্পনগরীর পরিবর্তে ৫০০ একরের শিল্প পার্ক এর ধারণা অন্যতম।

দেশব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তাদের সেবা প্রদানের লক্ষে সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানের বিষয় অর্ন্তভুক্তি সহ যুগোপযোগী করে বিসিক আইনের সংশোধন মধ্যে বর্তমানে নেয়া বিসিক এর গৃহীত কার্যক্রমের মধ্যে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, বিসিক শিল্প নগরীতে বন্ডেড ওয়্যার হাউজ গঠন, ইত্যাদি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :

• বিসিকের শূণ্য পদে ০৩-২০তম গ্রেডে স্বচ্ছতার সহিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ;
• বিসিকের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন;
• ছোট ছোট শিল্পনগরীর ধ্যান ধারনার পরিবর্তন করে ২০০-৫০০ একর ভিত্তিক শিল্পপার্ক স্থাপন;
• বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বিসিক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি হার ১০০% অর্জন;
• উদ্যোক্তাদের জন্য বিসিকের সেবা সহজীকরণ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ে উদ্যোক্তাদের সেবা প্রদান;
• বিভিন্ন শিল্পখাতের উদ্যোক্তা সমিতির সাথে সম্পর্ক জোরদারকরণ এবং বিসিক মূখীকরণ;
• বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে বিসিককে দৃশ্যমাণ করা;
• উদ্যোক্তাদের পণ্য বিপণন সহায়তার জন্য বিসিক অনলাইন মার্কেটিং প্লেস চালুকরনে কার্যক্রম গ্রহণ;
• আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশে লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন;
• গুজবের কারণে সৃষ্ট লবণের কৃত্রিম সংকট ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিরসন;
• বিসিকের নিজস্ব লবণ চাষের জমি দখলদার হতে উদ্ধার করে প্রকৃত লবণ চাষীদের নিকট বরাদ্দ প্রদান;
• লবণ চাষীদের রক্ষা করতে লবণ আমদানির অনুমতি প্রদান বন্ধকরণ;
• লবণ চাষীদের জন্য বিশেষ ঋণ কর্মসূচি চালুকরণ;
• ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস আইনে বিসিকের নাম অর্ন্তভুক্তিকরণ;
• জেলা এসএমই ঋণ বিতরণ ও মনিটরিং কমিটি গঠন এবং সদস্য সচিব হিসেবে বিসিককে অর্ন্তভুক্তিকরণ;
• বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ কর্মসূচির আওতায় কর্মসংস্থান ব্যাংকের সাথে বিসিকের চুক্তি স্বাক্ষর;
• বিসিকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্স যুগোপযোগিকরণ;
• চামড়া শিল্প উন্নয়নে চামড়া শিল্পনগরী পরিচালনায় বিসিকের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকরণ;
• বিসিক চামড়া শিল্পনগরীতে CETP চালুকরন এবং CETP পরিচালনার জন্য কোম্পানি গঠন;
• LWG সনদ প্রাপ্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ, আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নতুন চামড়া শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠা এবং চট্টগ্রামে ও রাজশাহীতে আরো ২টি চামড়া ও চামড়াজাত শিল্প পার্ক নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ;
• বিসিকের মামলার জট নিরসন এবং বিসিক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স হতে ইয়ানতাইকে উচ্ছেদ;
• করোনার প্রভাবে যেখানে দেশের বেশিরভাগ শিল্প কারখানাই বন্ধ সেখানে বিসিকের সার্বিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্য-বিধি অনুসরণ করে বিসিকের ৭৬ টি শিল্পনগরীর ২৩৮৪ টি শিল্প ইউনিট নিয়মিতভাবে তাদের পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সহায়তাকরণ।

কুটির শিল্পের উন্নয়নে বিসিক, যুব ও ক্রীড়া দপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা ও সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি সাহায্য সংস্থা (NGO) শ্রমিকদের আর্থিক, কারিগরি এবং বিপণনে সহায়তা করে থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here