বুধবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় শুরু হয়েছে আদি জামদানি প্রদর্শনী। ‘অনন্য বয়নে জামদানি উৎসব’ নামে এ আয়োজনে আছে আদি জামদানি নকশায় বোনা শাড়ি, নকশার নমুনা, প্রাকৃতিক রংয়ের উপকরণ, জামদানি কাপড়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেবা নারী ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইদা রোকসানা খান। রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার একক সংগীতানুষ্ঠান ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘জামদানি নিয়ে আমরা গর্ব করি; কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলোকে আমরা তুলে ধরতে পারিনি। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহ্য নিয়ে ভাবেন। এ জন্য সরকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কাজ করছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) গেইল মার্টিন, বিশ্বব্যাংকের এসইপি টাস্ক টিম লিডার ইউন জু অ্যালিসন ই, টেক্সটাইল–বিশেষজ্ঞ, সংগ্রাহক ও কলকাতার দ্য উইভার্স স্টুডিওর স্বত্বাধিকারী দর্শন মেকানি শাহ।
প্রদর্শনীর কিউরেটর বাংলাদেশ কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি চন্দ্রশেখর সাহা জানান, বিশ্বজুড়ে বয়নশিল্পের ঐতিহ্য এবং ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জামদানি বয়নশিল্প আজও আভিজাত্য নিয়ে উদ্ভাসিত। বয়নশিল্পীদের দক্ষতা ও মেধার চর্চা প্রজন্মের হাত ধরে অব্যাহত রাখা প্রদর্শনীর অন্যতম লক্ষ্য।
সেবার নারী ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের উদ্যোগে শুরু হওয়া ‘অনন্য বয়ানে জামদানি উৎসব’এর পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ। সহযোগিতায় আছে পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশন। প্রদর্শনী উপলক্ষে ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে জামদানির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা সভা।
শাড়ির পাশাপাশি আছে জামদানির কাজ করা জামা, পাঞ্জাবি, ব্যাগসহ অনেক কিছু।
এ প্রদর্শনীতে দর্শকদের জন্য বাড়তি পাওয়া জামদানি বয়নশিল্পীদের জীবন ও অভিজ্ঞতা নিয়ে তৈরি নানা ইলাস্ট্রেশন। উপস্থিত হয়েছিলেন বয়নশিল্পীরাও। দর্শকদের জন্য জামদানি বুনে দেখিয়েছেন তাঁরা। নকশা, সেলাই ও রং নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শিল্পীরা।
আয়োজকেরা জানান, এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে এ আয়োজনের জন্য। মূলত বাংলাদেশের আদি জামদানির আভিজাত্য তুলে ধরা এবং ঐতিহ্যময় বয়নশিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করাই এ প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য।
সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের আওতায় আয়োজিত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত। ২৯ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৭ নম্বর গ্যালারিতে চলবে প্রদর্শনী।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা