রন্ধন বিলাস ও পিঠার রাজত্বে স্বাবলম্বী উদ্যোক্তা সানজিদা

0
উদ্যোক্তা সানজিদা কাওসার

মা ও শ্বাশুড়ির তৈরী সুস্বাদু হাতের খাবারে উদ্যোক্তা হয়ে সফলতা পেয়েছেন সানজিদা কাওসার মাহমুদ। নিজের মায়ের সুস্বাদু খাবারে ‘রন্ধন বিলাস’ ও শ্বাশুড়ির সুস্বাদু পিঠার ‘পিঠার রাজত্ব’ দুটি ফেসবুক পেইজ খুলে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন তিনি।

বাবা মার একমাত্র সন্তান সানজিদার তার মায়ের হাতের কিছু খাবার খুবই স্পেশাল ছিল তাই একটা ফেসবুক পেইজ খুলে দিলেন। যার নাম ‘রন্ধন বিলাস’ যেখানে দইবড়া,জালি কাবাব, শামি কাবাব, চমচম, বিফ রোল খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠলো।

মায়ের হাতের দইবড়া খুবই হিট একটি আইটেম হিসাবে সবার কাছে পরিচিতি পেয়ে গেল।

সানজিদার শ্বাশুড়ির হাতের নকশী পিঠা,ঝিনুক পিঠা,মুগ পাকন পিঠা সবাই খুবই পছন্দ করেন তাই শ্বাশুড়ি মা কেও একটা পেইজ খুলে দিলেন। নাম দিলের ‘পিঠার রাজত্ব’।

পিঠার রাজত্বের পিঠাও সবাই খুব পছন্দ করছেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে পেইজ দুটো নিয়ে যাত্রা শুরু করেন।

এতো ভালো সাড়া পাচ্ছেন এ ব্যাপারে উদ্যোক্তা জানান শখের বসে করোনাকালীন সময়ে মা ও শ্বাশুড়িকে পেইজ দুটো খুলে দেয়া।এতো ভালো সাড়া পাবেন বুঝতেই পারি নি।

২০ হাজার টাকা দিয়ে যাত্রা শুরু এখন রন্ধন বিলাস থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা এবং পিঠার রাজত্ব থেকে মাসে এক লাখ টাকার মতো আয় হচ্ছে।

সেই সাথে সাথে সবচেয়ে বড় পাওয়া মা ও শ্বাশুড়ি দুইজনই ব্যস্ত আছেন এবং ভালো আছেন।

উদ্যোক্তা সানজিনা কাউসার মাহমুদ ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশুনা করলেও দেশের প্রতি, দেশের সংস্কৃতির প্রতি অনেক ভালোবাসা।তাইতো পিঠা পুলি ও দেশীয় খাবার বিশেষ করে হোম মেইড খাবারের প্রতি তার স্বপ্নটা অনেক বড়।

এখন নিজেরা সবকিছু দেখভাল করলেও সাত-আট জন রাইডার তাদের সাথে কাজ করছেন। এটা কে তিনি অনেক বড় প্রাপ্তি হিসাবে দেখেন।

করোনাকালীন সময়ে অনেকে চাকুরীচ্যুত হয়েছেন তাই এই সেক্টরে কাজ করাটা তিনি অনেক সম্ভাবনা দেখছেন।স্পেশালী হোম মেইড খাবারের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় তিনি জানান তার খুব শিগগিরই শপ নেয়ার ইচ্ছা।যেখানে অনেক কর্মীরা কাজ করতে পারবেন।

ভবিষ্যতে এই সেক্টরে উদ্যোক্তাদের জন্য তার একটাই কথা একদম দেরী নয়।যত দ্রুত সম্ভব শুরু করে দিন।রিস্ক নিতেই হবে রিস্ক না নিলে সফলতা আসবেনা।

মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here