উদ্যোক্তা আর মেলাপ্রমীদের মিলনমেলায় শেষ হলো ব্লাকবোর্ড আয়োজিত স্পিং ফেস্টিভাল- ২০২০।  গত ৯-১১ ই অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মুখরিত ছিলো রুপসী প্রো-এক্টিভ ভিলেজ হল রুমের মেলা  প্রাঙ্গণ। হরেক রকমের পিঠা, খাবার, আচার, জামদানী শাড়ি,  বাংগালীর চুড়ি,  জামা, জুট ব্যাগ, প্রাকৃতিক খাবার, রুটি মেকার, সাজ সজ্জা ও ফ্রি  সার্ভিসিং নিয়ে স্টল দিয়ে সাজিয়েছিলেন আয়োজকরা। দুই দিনের মেলা কিন্তু  দর্শনার্থীদের অনুরোধে একদিন বাড়িয়ে ১১ই অক্টোবর রাত ১০টায় শেষ হয়।

মেলাতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৪,১৫,১৬, সংরক্ষিত আসন -০২ এর মাননীয় কাউন্সিলর সাহিদা আক্তার শীলা। তিনি নারী উদোক্তাদের এই আয়োজনকে প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যৎ এ আরো সহোযোগীতার আশা দেন। আরও অনান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন  লেঃ কর্নেল মুসলেমউদ্দীন,  চেয়ারম্যান, রুপসী প্রো একটিভ ভিলেইজ এবং মোঃ তাজুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, শ্রমিকলীগ কাফরুল থানা মিরপুর ঢাকা।

এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন রুপসী প্রো একটিভ ভিলেইজ এর কমিটির সদস্যরা। তাদের উপস্থিতি ও সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে মেলাটি। আগামীতে আরও সব ধরনের সহযোগিতার হাত বারিয়ে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন আয়োজকরা।

মেলাতে অংশগ্রহণকারী স্টল এর মধ্যে ছিলো মেকানিক্স, ড্রেস মিট,  অয়েভস বিউটি স্যালুন, নিশাত স্প্যাশ, লাবন্য ক্রাফটস, চাঁদের পালকি ,পিঠা ঘর, আঞ্জেলস ওয়েরড্রপ ও 7 কালার্স,নিপান্স কিচেন সহো আরো জনপ্রিয় ব্রান্ড। মেলায় সাপোর্টিং হিসেবে ছিলেন -জনপ্রিয় ফেইসবুক গ্রুপ ‘ও বন্ধু!!!’ এই গ্রুপের সহযোগিতায় এবং ও বন্ধু!!!  গ্রুপের বন্ধুদের পদচারণায় উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয় মেলা প্রাঙ্গণ। ওবন্ধু!!! গ্রুপের অ্যডমিন ডা: তুষার তার সমস্ত দল নিয়ে প্রতিদিন মেলাকে উজ্জীবিত করে রেখেছিলেন।

মেলার দর্শণার্থীদের মাঝে খাবারের প্রতি প্রবল আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। খাবার আর পোশাকের দোকানে ফাঁকে কিছু অলঙ্কার ও ঘর সাজানোর অনুষঙ্গের দোকানও চোখে পরে। শুধু বিভিন্ন ধরণের গহনা কিংবা পোশাক নয়, হাতে তৈরি নানান রকম পিঠা, কেক ও আচারও পাওয়া যাচ্ছে মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন স্টলে। সাথে ছিলো ওয়েভস বিউটি স্যালুন এর সাজ সজ্জার উপর বিশেষ ডিস্কাউন্ট। মেলার আয়োজক ব্লাকবোর্ড এর ডিরেক্টর ও  অন্ট্রেপ্রেনিওরস ক্লাব অফ বাংলাদেশ এর ওমেন্স ফোরাম এর চেয়ার সাহারা সুলতানা মেলার সফলতা দর্শনার্থী আগমন প্রসংগে বলেন ” করোনার দীর্ঘ সময় পরে সেই হিসেবে এই এলাকায় প্রথমবারের মেলায় জনসমাগম ও ক্রেতাদের আগ্রহ বেশ ভালো । মোট ২৪ টি স্টল নিয়ে সাজানো এই মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় তিন দিনই  ভালো ছিল। তবে রাতের বেলা জনসমাগম বেশি হয়েছে “। তিনি বলেনও অন্ট্রেপ্রেনিওরস ক্লাব অফ বাংলাদেশ উদ্যোক্তাদের নিজের মধ্যে নেটওয়ার্ক, সমসাময়িক ট্রেন্ড, ট্রেনিং, মিটাপ, ওয়ার্কশপ এর মাধ্যমে একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম করতে কাজ করে যাচ্ছে ২০১৭ সাল থেকে।

মেলা ঘুরে দেখা গেলো সকল বয়সী ক্রেতাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি। মেলায় সবাই আসছেন দেশীয় আমেজে পছন্দসই পোশাক কিনতে, খাবার খেতে, একসাথে ভালো কিছু সময় কাটাতে। ব্লাকবোর্ড এর আরেকজন ডিরেক্টর ও মেলার আয়োজক ও অন্ট্রেপ্রেনিওরস ক্লাব অফ বাংলাদেশ এর উইমেন্স ফোরাম এর পি আর ডিরেক্টর ফারহানা মিম্মা বলেন,” এমন মেলার আয়োজন শুধুই পণ্যের বেচাকেনা নয়, ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কও গড়ে তুলতে সাহায্য করে”। তিনি অন্ট্রেপ্রেনিওরস ক্লাব অফ বাংলাদেশ এর সহোজোগীতায় প্রতি বছর এই ধরনের মেলা করবে বলেও জানান। তার মতে অন্ট্রেপ্রেনিওরস ক্লাব অফ বাংলাদেশ এর ৩১২ জন সদস্যদের মোট নারী সদস্য সংখ্যা ৮১ এবং সবাই উদ্যোক্তা।  তাই উদ্যোক্তাদের নিজের ব্রান্ডিং ও মান উন্নয়নে এই ধরনের এলাকা ভিত্তিক মেলার দরকার আছে।

আয়োজকরা বলেন সবার সহযোগিতা পেলে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করবেন, মেলার সমাপনী দিনে অন্ট্রেপ্রেনিওরস ক্লাব অফ বাংলাদেশ এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান এবং জেনারেল সেক্রেটারি জনাব কামরুল হাসানের উপস্থিতি আয়োজক ও উদ্যোক্তাদের আরো অনুপ্রানিত করে।করোনার এই দীর্ঘ সময় পরে এই মেলা যেনো সবার মাঝে নতুন প্রান সঞ্চার করেছিলো।

বিপ্লব আহসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here