মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সহ সেক্টর কমান্ডার, বাবা আলহাজ্ব মশিউর রহমান। বাবার আদর্শ আর ভীষণ কেতাদুরস্ত, স্মার্ট লাইফস্টাইলে এবং আদরে বড় হওয়া সাহিদা রহমান সেতু বাংলাদেশের সীমান্ত নগরী বেনাপোল পৌরসভার মাঝখানে বদলে দিচ্ছেন শহরের পুরো দৃশ্য।
হুট করে সড়কপথে ভারত যাবার সময় যদি ঠিক স্ট্রাকচারটির সামনে এসে চোখ খুলে তাকান তাহলে ভাববেন কোন মেগা সিটির কোন ওয়ার্ল্ড ক্লাস বিজনেস সেন্টার এর সামনে চলে এসেছেন।
কোরবানী ঈদে দেখা সেতু’স কফি হাব এর সামনে মেইন রোডে থেকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে কফি প্রেমীরা।
খ্যাতিমান স্থপতি তানজিম হাসান সেলিম এর নকশায় বাংলাদেশের সীমান্ত নগরী বেনাপোল আজ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার সময় কিংবা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নতুন বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দেয়।
সেতু ৩৭ শতক পারিবারিক জমির ওপর গড়ে তুললেন বিংশ শতকের কমপ্যাটিবল স্ট্রাকচার। ২০০ টি শো-রুম, ব্যাংক হাউজ, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং আধুনিক হোটেল সুইট। সব থাকছে এক স্ট্রাকচারের মধ্যেই।
গ্রাউন্ড এবং ফার্স্ট ফ্লোরে অত্যাধুনিক সব ব্র্যান্ড আউটলেটস এবং ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল প্রোডাক্টস। এ তো গেলো শপিং লাভারসদের কথা।
২ তলা এবং ৩য় তলায় রয়েছে ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, জিম এবং বিলিয়ার্ড জোন। ৪ তলা পুরোটাই অফিস স্পেস। ৯০০০ স্কয়ারফিট। ৫ তলায় বেনাপোল ইম্পেরিয়াল সুইট, ৩৭টি স্টেট অব আর্ট সুইট।
ভারত থেকে নেমে কিংবা ভারতে যাবার আগে যেকোনো পর্যটক/পরিবার/ কর্পোরেট নিতে পারেন ২-৪ দিনের বিশ্রাম নিতে পারেন ট্রানজিট সীমান্ত নগরী ঘুরে দেখবার জন্য।
যদি প্রতিদিন জিমে যাবার অভ্যাস কারো থাকে তাহলে আপনি জিম মিস করবেননা। কারণ, বেনাপোল জিমনেসিটি, হাজার স্কয়ার ফিটে তৈরী বেনাপোলে। আপনি জিম করবেন।
২০১৯ এর ১জুলাই উদ্বোধন হওয়া সেতু’স কফি হাবে খাবেন আপনার পছন্দের ফ্লেভারের কফি ছোট ইটালিয়ান টাইপ কোজি একটা গ্রিন জোনে।
নিজ স্থানে কিছু একটা করা, এমন কিছু যা গতানুগতিক নয়। এমন কিছু যা প্রজন্মকে নিজের শেকড় চেনাবে, উদ্যোগ আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে এবং বিশ্বমানে নিজের প্রজন্মের জন্য করবে কাজ। সেবা দিবে নিজের দেশকে। “৪ ছেলেমেয়েকে নিয়ে এবং নতুন প্রজন্মের সন্তানদের জন্য আমার এই উদ্যোগ, আমি আমার বাবা-মার স্বপ্ন সারথী হতে চাই এই মেগা স্ট্রাকচারকে দিয়ে আমার কর্ম দিয়ে, আমার এই সীমান্ত অঞ্চলকে সেবা দিয়ে বললেন”-উদ্যোক্তা সেতু।
সেতু ইংরেজি সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। ৮০’র দশকে “গোধূলী লগ্ন” কবিতা লেখা সাহিত্যের ছাত্রী সেতু সূর্যাস্তকে ভীষণ ভালোবাসেন। সমুদ্রে অস্ত যাওয়া সূর্য, পূর্বে উদয় হয় আকাশে- প্রতিদিন সূর্যের অভ্যাস। প্রকৃতিপ্রেমী সেতুকে ভীষণ ভাবায়।
২০২০ এ গ্র্যান্ড ওপেনিং এ সেতু উপহার দিতে চাচ্ছেন বিশ্বমানে টপ ফ্লোরে দ্যা সান রুফ, বারবিকিউ এন্ড পার্টি লাউঞ্জ। ৫০০ লোকের আসন ব্যবস্থায় এবং খাওয়া দাওয়ায় রয়েছে পছন্দের সব মেনু।
ভারত থেকে বাংলাদেশে যত অতিথি আসবেন বাংলাদেশে তাদের কাছে নতুন এক যাত্রাবিরতির স্থান হবে আজ রহমান চেম্বার- বাংলাদেশের নতুন ভাবমূর্তির পরিচায়ক এই ফ্ল্যাগশিপ বিল্ডিং দক্ষিণবঙ্গে। আলো ঝলমলে সীমান্ত নগরী বেনাপোল আজ নতুন খাতায় ফ্ল্যাগশিপ বিল্ডিং এ নতুন পরিচয় পেলো উদ্যোক্তা সেতুর জন্য।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা