বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর ৩৬ তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে সদস্যরা ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির এবং হালকা প্রকৌশল, কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতের উন্নয়ন ও প্রসার, শিল্প খাতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং অর্থায়নের সমস্যার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার বিসিআই বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করে যাবেন তারা।পাশাপাশি মাইক্রো ও ক্ষুদ্র, কুটির শিল্প এবং হালকা প্রকৌশল ও কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতের উন্নয়নে কাজ অব্যাহত রাখবেন।
বিসিআই সভাপতি জানান, যেহেতু বিসিআই সারাদেশভিত্তিক একক ও একমাত্র জাতীয় শিল্প চেম্বার, সেহেতু স্থানীয় সব শিল্পের পথে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা নিরসনে সংগঠনের সবাইকে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালনে চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা ও শত প্রতিকূলতার মধ্যে সবাইকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। অন্যদিকে দেশের কর ব্যবস্থা শিল্পবান্ধব নয়। কর ব্যবস্থায় ব্যবসায় কোন লোকসান বিবেচনা করা হয় না, খাতভিত্তিক গ্রস প্রফিট ধরা হয়; যা যুক্তিসংগত নয়। বর্তমান সংকটকালে প্রায় ৪০ শতাংশ মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ঝরে পড়ছে। সবাইকে এ ঝরে পড়া রোধে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন: দেশে একদিকে যেমন বেকারত্ব বাড়ছে, তেমনি আবার শিল্পে দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। তাই বিসিআই দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে। তরুণ উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং যুব উদ্যোক্তা তৈরি ও বিকাশের জন্য সব ধরনের চেষ্টা করবে বিসিআই।
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বিসিআই’র ২০২১-২২ সালের কর্মকাণ্ডের সারসংক্ষেপ সভায় উপস্থাপন করেন। সভায় বিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম নিরুসহ পরিচালক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা