বহুমুখী পাটপণ্যই হবে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

0

বহুমুখী পাটপণ্যের প্রসার বাড়াতে আরো বেশি হারে দেশে ও বিদেশে পাটপণ্যের প্রদর্শনী করার আহ্বান জানিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, সে দিন আর বেশি দুরে নয় যখন বহুমুখী পাটপণ্যই হবে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস।

সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে করিম চেম্বারে পাটপণ্যের বহুমুখী বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ আশা প্রকাশ করেন।

জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)’র আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা আক্তার, পাটকল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার এবং জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহমুদ হোসেন।

মতিঝিলে করিম চেম্বারে বহুমুখী পাটপণ্যের এই প্রদর্শনী স্থায়ীভাবে চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী যার প্রথম দফায় ২৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা বহুমুখী পাটপণ্যের পসরা সাজিয়েছে। বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তারা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। প্রদর্শনীতে পাটের প্রায় সব ধরনের পণ্য রয়েছে। আগামী একমাস এই ২৮ উদ্যোক্তার পণ্য প্রর্দশন ও বিক্রি হবে। এরপর অন্য ২৮ উদ্যোক্তার পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। এভাবে বছরব্যাপী এখানে বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রি করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, যতো পারেন পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রপ্তানি করতে উৎসাহী হবেন।

মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের আরো উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আমরা ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। সরকার উদ্যোক্তা তৈরি করতে আগ্রহী। কারণ উদ্যোক্তা ছাড়া দেশের কোনো ভবিষ্যত নেই।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী’র ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। সে লক্ষ্যে পাটখাতের অংশীজনসহ বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ও পাটসমৃদ্ধ ফরিদপুর জেলায় পাট ও পাটজাতপণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

স্থায়ী এই প্রদর্শনী ছাড়াও ১২-১৬ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে পাঁচদিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও মেলা আয়োজন করা হবে।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here