উদ্যোক্তা- নাসরিন ফাতেমা খন্দকার

প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসাই নাসরিনের কাজের প্রেরণা। মনের ক্যানভাসে প্রকৃতির হাজারো রঙের খেলা নাসরিনকে বরাবরই আকৃষ্ট করতো। স্কুল কলেজের সময় থেকে নতুন নতুন ডিজাইন করতে ভীষণ ভালো লাগতো। নতুন কিছু আবিস্কারের আনন্দ কাজের প্রতি ভালোবাসা আরো বাড়িয়ে তুলতো। নাসরিন এই আবেগকে শখে রুপান্তর করেছেন। পড়াশোনা শেষে নাসরিন শখের বসে বাটিক,হস্তশিল্প এবং ফ্যাশন ডিজাইনের কোর্সগুলো সম্পন্ন করেন।

নাসরিন ফাতেমা খন্দকার, একজন ডিজাইনার ও উদ্যোক্তা। স্বত্বাধিকারী ”নাসরিন কালেকশন”। আজকে উদ্যোক্তা বার্তায় আমরা তাঁর উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প শুনবো।

উদ্যোক্তা নাসরিন বলেন -“আমার বিয়ের পর প্রথম যখন চাঁদপুর (শ্বশুর বাড়ি) যাই, সেখানকার মানুষের হাতের তৈরি বাঁশের পণ্য, শিতল পাটির অপূর্ব কারুকাজ, আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করেছিলো। তারপর থেকেই এই কাজের প্রতি আমার ভীষণ মায়া পড়ে যায়। তারপর বেশ কয়েক বছর আর চাঁদপুর যাওয়া হয়নি।

আবার যখন গেলাম গিয়ে দেখি বাঁশ বেতের জায়গাটা দখল করেছে প্লাস্টিক পণ্য। বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো। তখনি সিদ্ধান্ত নিলাম আর শখ নয় উদ্যোক্তা হয়ে এই পণ্য গুলোকে বাঁচাতে হবে।এভাবেই আমার চলার শুরু। বর্তমানে আমি, বাঁশ, বেত, রাঙ্গামাটি হ্যান্ডলুম এবং পাটের সংমিশ্রণে নতুন কিছু ডিজাইন তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে কোনোদিনই দেশীয় পণ্যের বাইরে চিন্তাই করি না”।

নাসরিন কালেকশন এর পণ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরণের ব্যাগ, বাঁশের বেতের বাসনগুলি প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য, পিনন-হাদী, হাতে বোনা কাপড়ের কুর্তি, বাচ্চাদের পোশাক, টেবিল-ম্যাট, রানার এবং অন্যান্য পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ১০-১৫জন শ্রমিক নাসরিনের ফ্যাক্টরিতে কাজ করছেন।

নারী উদ্যোক্তাদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে নাসরিন ফাতেমা খন্দকার বলেন- “নারী ব্যবসায়ীদের মত হাজারও নারীরা বর্তমানে নিজের সৃজনশীলতা, ব্যবসায়িক বুদ্ধি, রুচিবোধ, গ্রাহকের মানসিকতা ইত্যাদিকে কাজে লাগিয়ে হস্তশিল্প নিয়ে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ উভয় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছেন। একজন গৃহিণী বা কর্মজীবী নারী তাদের কাজের পাশাপাশি, এমন কি নিজের পেশা হিসেবেও হস্তশিল্পের মাধ্যমে নিজের আর্থসামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে দেশের উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশা পোষণ করেন।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here