দেশসেরা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা- মাসুদা ইয়াসমিন উর্মি

নারী দিবসে অনুপ্রেরণা জোগাবে যে নারীর গল্প তিনি মাসুদা ইয়াসমীন ঊর্মি। মনোবিজ্ঞান এ মাস্টার্স সম্পূর্ণ করলেন তারপর নিজেই কিছু করার তাগিদ থেকে লেদার কিনে এপেক্স এবং বে ট্যানারীর কাছে সরবরাহ করতে শুরু করেন। অসুস্থতার কারণে কাজে বিঘ্ন ঘটে তবে সুস্থ হয়ে আবার কাজ শুরু করলেন। ফ্যাশনেবল ব্যাগের ডিমান্ড অনেক, এটাই মূলত ভাবিয়ে তোলে উদ্যোক্তাকে এ খাতে কাজ করার বিষয়ে।

উদ্যোক্তা ঊর্মি ২ জন কর্মী এবং ২টি মেশিন নিয়ে শুরু করলেন। ২০০৮ সাল, ছোট ছোট স্যাম্পল তৈরী করে উদ্যোক্তা নিজেই বিভিন্ন মার্কেট এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে উপস্থাপন করতে শুরু করলেন। লেডিস ব্যাগ এবং জেন্টস অফিস ব্যাগ এর সাড়া মিললো বে-এম্পোরিয়াম থেকে। প্রতি মাসে ব্যাগের অর্ডার ১০০ থেকে ১৫০ ব্যাগ। তারপর আরো অন্যান্য সব বড় ব্র্যান্ড এর কাছ থেকে প্রোডাক্ট এর কোয়ালিটির কারণে অর্ডার মিললো। চুক্তি ভিত্তিতে বেশ কিছু দেশ থেকে যেমন অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড, চায়না, জাপান, ইটালী, আমেরিকা থেকেও অর্ডার পেলেন।

উদ্যোক্তার সফলতা অর্জন করলেন, ১৮০০ স্কয়ার ফিটে কর্মী ৩০ জন নিয়মিত কর্মী এবং চুক্তিভিত্তিতে প্রায় ১৫০ জনের মত কর্মী কাজ করে থাকেন। উদ্যোক্তা শো রুম দিলেন ২০১৫ সালে টোকিও স্কয়ার এ। ২০১৬ সালে,উদ্যোক্তার কাজের স্বীকৃত মিলে বর্ষসেরা নারী উদ্যোক্তা মাইক্রো ক্যাটাগরীতে, এস এম ই ফাউন্ডেশনের। ২০১৭ সাল, নারী দিবসের বি বোল্ড এওয়ার্ড অর্জন করলেন। চায়না এবং জাপান এ আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিলেন।দেশে এস এম ই ফেয়ার, বানিজ্য মেলা, বাংলাদেশ ব্যাংক মেলা, আই পি ইউ, সি পি ইউ, ব্লিস ফেয়ার লেদার সব গুলোতে সর্বোচ্চ বিক্রেতা হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন।

উদ্যোক্তার সকল প্রোডাক্টের তৈরী হয় একটি অসামান্য উন্মুক্ত শক্তি, তা হল শত ভাগ এক্সপোর্ট কোয়ালিটি। লেদার দিয়েই উদ্যোক্তা তৈরী করেন প্রতিটি পন্য, যা উদ্যোক্তার পণ্যকে স্টেট অব আর্ট কোয়ালিটিপূর্ণ করেছে। উদ্যোক্তা মাসুদা ইয়াস্মীন উর্মি ৭০হাজার টাকা নিয়ে তার কর্মযাত্রা শুরু করেন এবং আজ উদ্যোক্তা পরিচালনা করছেন প্রায় কোটি টাকা মূল্যমানের ব্যবসায়।

নারী দিবসের এই দিনে তিনি হয়ে থাকবেন অনুকরণীয়, উৎসাহ যোগাবে অনেক নারী হৃদয়ে।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here