রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে চলছে বারুনী ও ত্রিনয়নী আয়োজিত দু’দিনের দেশি পণ্যের বসন্ত মেলা। মেলায় দেশী পণ্যের বিশাল সমারোহে শহুরে জীবনেও বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে। প্রথমদিনই ব্যাপক ক্রেতা সমাগম ঘটে।
ক্রেতারা প্রায় প্রত্যেকেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন সংগ্রহ করছেন তেমনি উপভোগ করছেন মেলা। ৬৪টি স্টলে উদ্যোক্তারা বিভিন্ন ধরনের কাপড়, বাহারি গহনা, বাঁশের তৈরি পণ্য এবং মুখরোচক সব খাবারের সমারোহে জমিয়ে তুলেছেন আয়োজনকে।
বিভিন্ন হ্যান্ডপেইন্টেড পণ্য নিয়ে উদ্যোক্তা আফসানা সুমি মেলায় এসে তার অভিজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘আমার উদ্যোগ গুটিপোকা। গহনা, শাড়ি, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যের উপর হ্যান্ডপেইন্টের কাজ করছি। আমার যেহেতু কোনো আউটলেট নেই, তাই এ ধরনের মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে আমার সরাসরি যোগাযোগ হয়। ক্রেতারাও পণ্য দেখে কিনতে পারেন।’
‘বি-বাসিনী’র উদ্যোক্তা শিউলি আক্তার বলেন, ‘আমি কাজ করছি ঐতিহ্যবাহী পণ্য কাঁসা পিতল নিয়ে। আমাদের ঐতিহ্যের অংশ এসব পণ্য যেমন ঘরের কাজে লাগছে, আবার পরিবেশবান্ধবও। এসকল পণ্যের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমি এই উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি।”
নিজের বাসায় তৈরি করা হ্যান্ডমেড গহনা নিয়ে কাজ করেন উদ্যোক্তা মাসুদা পারভিন। তিনি বলেন, যখন দেখছি ক্রেতারা বিভিন্ন উৎসবগুলোতে আমাদের তৈরি গহনা পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করছেন, তখন সেটা খুব তৃপ্তি দেয় আমাদের। পাশাপাশি নিজের উদ্যোগকে আরো বড় করে তুলতে অনুপ্রাণিত হই
মেলার আয়োজনের ব্যাপারে আয়োজক এবং বারুনী ও ত্রিনয়নীর পরিচালক সঞ্জীব ঘোষ বলেন, ‘আমি মনে করি একজন উদ্যোক্তা হলো শিল্পী। শিল্পী তার ছোঁয়ায় শিল্পকর্ম সাজান। তেমনি উদ্যোক্তারাও তাদের শিল্পের ছোঁয়ায় তাদের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে চলেন। অনেক দূর পথ পাড়ি দিতে হলে সবাই মিলে পথটা সহজ করা যায়। আমাদের মোট ৬৪টি স্টল, যেখানে আমি বলবো ৬৪ জন শিল্পী কাজ করছেন। বসন্তকে বরণ করে নিতেই আমাদের এবারের আয়োজন।’
১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মেলার প্রথম দিনেই ক্রেতা দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে মাইডাস সেন্টারে। আয়োজন চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা।
সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তা বার্তা