অপস ওয়ান সলিউশন কোম্পানির সিইও জোশুয়া ওয়াং

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে সফলতা দেখা দেয় বড় কোনো ঝুঁকি নেওয়ার ফলে। কাউকে হয়ত দ্বিগুণ পরিশ্রমও করতে হয় সফলতা আনতে। কিন্তু যতই কষ্ট করুক না কেনো সফলতার জন্য ঝুঁকি নেওয়া বাধ্যতামূলক। আবার সেটা যদি হয় একজন উদ্যোক্তা তাহলে তো কোনো কথায় নেই। আজ বলব একজন মানুষের কথা যিনি শূন্য থেকে উঠে এসে একটি কোম্পানির সিইও হয়েছেন নিজ দক্ষতায়।

আমি অনেকবার প্রায় দেওলিয়া হয়ে যাওয়ার মুখো-মুখি হয়েছি। আমি হারাতে চলেছিলাম আমার বাড়িটাও। আমি হচ্ছি সেই অপস ওয়ান সলিউশন কোম্পানির সিইও জোশুয়া ওয়াং

‘অপস ওয়ান সলিউশন’ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যারা বিভিন্ন  ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক গ্রিড নিয়ন্ত্রণ করে এবং উদ্যোক্তাদের এই বৈদ্যুতিক গ্রিড নিয়ে কাজ করার বিভিন্ন পরামর্শ দেয় ।

ওয়াং বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি আমি শুরু করেছিলাম আমার নিজের অর্থায়নে। আমার যত জমানো টাকা ছিল সবগুলো দিয়েছিলাম এই প্রতিষ্ঠানে। এতে আমাকে সহায়তা করেছিলেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন বন্ধু। তবে আমরা প্রথমেই সফলতার দেখা পাই নাই। এছাড়া আমরা অনেক ঋণগ্রস্ত হয় পড়েছিলাম। তাই কিছু দিনের স্থবিরতার পর ২০১১ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে “অপস ওয়ান সলিউশন” নাম দিয়ে আবার নতুন উদ্যমে শুরু করি। এবারের শুরুটা আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের ছিল। কেননা আমরা সাধারণ বৈদ্যুতিক গ্রিড নিয়রন্ত্রণ নিয়ে কাজ করি। এইটা তখনকার সময় খুব জরুরী ছিল। ফলে ইউএস সরকারের সহায়তায় আমরা এই প্রতিষ্ঠানটি ভালভাবে চালু করতে সক্ষম হই।

কিন্তু এই কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ আমরা অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল ছিলাম। তাই আমরা আমাদের অংশীদারদের সংখ্যা বৃদ্ধি করি এবং আর্থিকভাবে কিছুটা সমৃদ্ধ হই। যা আমাদের ব্যবসাটাকে আরো বড় করতে সহায়তা করে।

আজ আমাদের কোম্পানিটির বয়স প্রায় ৭ বছর। কিন্তু বছরগুলোর শুরুর প্রথম ৫ বছরে আমি এখান থেকে কোন বেতন নেই নাই । এখনও অবশ্য আমি আমার বাবা-মায়ের টাকায় চলি।

উদ্যোক্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে উদ্যোক্তা মানেই ঝুঁকি, যদি আপনি ঝুঁকি নিতে না পারেন তাহলে আপনি উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যবসায় সমস্যা আসবে এবং সমস্যার সমাধানও করতে হবে। সমস্যা সমাধানের জন্য সাধারণত অনেক বড় মূল্য দিতে হয়। কিন্তু মূল্যটা নির্ণয়  করতে হবে আপনার ঝুঁকি নেওয়ার উপরেই। ঝুঁকি আমি নিয়েছিলাম তাই হয়ত এই কোম্পানিটি শুরু করার জন্য আমার বাবা-মায়ের টাকা চুরিও করতে হয়েছিল। আসলে আমি স্বপ্নটা খুঁজে পেয়েছিলাম। তাই আমি জানতাম যে কোন রাস্তা দিয়ে গেলে আমি আমার সফলতাকে ছুঁতে পারব।

 

মোঃ হৃদয় সম্রাট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here