জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তার সাফল্যের কথা

0

মাসুদা ইয়াসমীন ঊর্মি, মনোবিজ্ঞান এ মাস্টার্স সম্পূর্ণ করলেন। ২০০৪ সালে র লেদার কিনে র লেদার গুলো এপেক্স এবং বে ট্যানারীর কাছে সরবরাহ করতে শুরু করেন। দেড় বছরের মত শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজের ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটে। তবে সুস্থতা অর্জন করবার পরেই আবার ব্যবসার কাজ শুরু করলেন। ফ্যাশনেবল ব্যাগের ডিমান্ড অনেক, এটাই মূলত ভাবিয়ে তোলে উদ্যোক্তাকে এ খাতে কাজ করার বিষয়ে।

চিত্রঃ স্মার্ট লেদার সো-রুম

উদ্যোক্তা ঊর্মি তাজমহল রোডে স্মার্ট লেদার নামে যাত্রা শুরু করলেন, ২ জন কর্মী এবং ২টি মেশিন নিয়ে। ২০০৮ সাল, ছোট ছোট স্যাম্পল তৈরী করে,  লেডিস ব্যাগ, অফিস ব্যাগ এবং মানিব্যাগ নিয়ে উদ্যোক্তা নিজেই বিভিন্ন মার্কেট এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে উপস্থাপন করতে শুরু করলেন। লেডিস ব্যাগ এবং জেন্টস অফিস ব্যাগ এর সাড়া মিললো  বে-এম্পোরিয়াম থেকে। প্রতি মাসে ব্যাগের অর্ডার ১০০ থেকে ১৫০ ব্যাগ। বড় ব্র‍্যান্ডের সাথে কাজ করবার এবং অর্ডার পাবার সাথে সাথে সাড়া মিললো, আরো অন্যান্য সব বড় ব্র‍্যান্ড এর কাছ থেকে। প্রোডাক্ট এর কোয়ালিটির কারণে অর্ডার মিললো সব চুক্তির ভিত্তিতে বেশ কিছু দেশ থেকে।  অস্ট্রেলিয়া,  নেদারল্যান্ড,  চায়না,  জাপান,  ইটালী,  আমেরিকা।

চিত্রঃ স্মার্ট লেদারের কর্মীরা অর্ডারের কাজে ব্যস্ত

উদ্যোক্তার সফলতা অর্জন করলেন, নিত্য নতুন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা। ৭০০০ পিস ওয়ালেট কিংবা ৩০০০ পিস অফিস ব্যাগের অর্ডার,  ৬০০ পিস হ্যান্ড ব্যাগ।

চিত্রঃ স্মার্ট লেদারের কর্মীরা অর্ডারের কাজে ব্যস্ত

১৮০০ স্কয়ার ফিটে কর্মী ৩০ জন নিয়মিত কর্মী এবং চুক্তিভিত্তিতে প্রায় ১৫০ জনের মত কর্মী কাজ করে থাকেন।উদ্যোক্তা শো রুম দিলেন ২০১৫ সালে টোকিও স্কয়ার এ।  ১৫০ স্কয়ার ফিটে কাস্টমারদের কাছে নতুন এক স্মার্ট লেদার গ্যালারী,  শোরুম স্মার্ট লেদার। ২০১৬ সালে,উদ্যোক্তার কাজের স্বীকৃত মিলে বর্ষসেরা নারী উদ্যোক্তা মাইক্রো ক্যাটাগরীতে,  এস এম ই ফাউন্ডেশনের। উদ্যোক্টার গতি বেড়ে যায় কাজ করবার এবং উদ্যোক্তা কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষে বিভোর। ২০১৭ সাল, নারী দিবসের বি বোল্ড এওয়ার্ড অর্জন করলেন। চায়না এবং জাপান এ আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিলেন।দেশে এস এম ই ফেয়ার,  বানিজ্য মেলা,  বাংলাদেশ ব্যাংক মেলা,  আই পি ইউ,  সি পি ইউ,  ব্লিস ফেয়ার লেদার  সব গুলোতে সর্বোচ্চ বিক্রেতা হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন।

চিত্রঃ উদ্যোক্তা মাসুদা ইয়াসমিন ঊর্মি

উদ্যোক্তার সকল প্রোডাক্টের তৈরীর একটি অসামান্য  সিক্রেট যা কিনা হয়ে দাড়ায় একটি  উন্মুক্ত শক্তি,  তা হল ১০০ শত  ভাগ এক্সপোর্ট কোয়ালিটি লেদার দিয়েই উদ্যোক্তা তৈরী করেন প্রতিটি পন্য, যা উদ্যোক্তার পণ্যকে স্টেট অব আর্ট কোয়ালিটিপূর্ণ করেছে। প্রোডাক্ট তৈরীতে সক্ষম এবং যে কোনো ক্রেতা লেদার প্রোডাক্ট কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন। উদ্যোক্তা মাসুদা ইয়াস্মীন  উর্মি ৭০,০০০ টাকা নিয়ে তার কর্মযাত্রা শুরু করেন এবং আজ উদ্যোক্তা পরিচালনা করছেন প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ব্যবসায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here