চাঁদে যাওয়ার পোশাক বানাবে ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রাডা

0

ইতালীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রাডার সঙ্গে যৌথভাবে নাসার মহাকাশচারীদের জন্য বিশেষ স্যুট তৈরির কাজ করবে আরেক প্রাইভেট কোম্পানি অ্যাক্সিওম স্পেস। অ্যাক্সিওম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, প্রাডা এই প্রকল্পে উপকরণ ও উৎপাদন–সম্পর্কিত দক্ষতা নিয়ে আসবে। নাসার মহাকাশচারীরা বিশেষ স্পেস স্যুট বা পোশাক পরে আগামী ২০২৫ সালে চন্দ্রাভিযানে যাবেন। তাঁদের জন্য সেই স্পেস স্যুটের ডিজাইন তথা নকশা তৈরি করবে বিলাসবহুল ফ্যাশন ডিজাইনের ব্র্যান্ড প্রাডা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্পেস স্যুটে নতুন প্রযুক্তি ও নকশা ব্যবহার করে চাঁদের পৃষ্ঠে আগের চেয়ে বেশি অনুসন্ধান করা সম্ভব হবে।

একজন মহাকাশচারী বিবিসিকে বলেন, এ ধরনের পোশাক তৈরির অভিজ্ঞতা থাকার কারণে প্রাডা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে। প্রাডার এই অভিজ্ঞতা কেবল ইতালির মিলানে ক্যাটওয়াক কর্মসূচির সুবাদেই নয়, বরং আমেরিকার ঐতিহাসিক কাপ নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমেও অর্জিত হয়েছে।

অধ্যাপক জেফ্রি হফম্যান নাসার পাঁচটি মিশনে উড়েছেন ও চারটি স্পেসওয়াক সম্পন্ন করেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের কাপড় নিয়ে প্রাডার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তারা নতুন স্পেস স্যুটের বাইরের নকশায় ও উপকরণে প্রযুক্তিগত অবদান রাখতে পারবে। তাই বলে প্রস্তাবিত স্পেস স্যুটটি পেইসলে নামক বিশেষ নকশারই হবে, এমনটা আশা করাও ঠিক হবে না। স্পেস স্যুটে একটি ভালো তাপীয় পরিবেশ বজায় রাখাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি আরও বলেন, স্পেস স্যুট আসলে একটি ক্ষুদ্র মহাকাশযানের মতো। পোশাকটির মাধ্যমে আরোহীকে চাপ, তাপ ও অক্সিজেন সঠিকভাবে সরবরাহ করাই হচ্ছে এই পোশাকের প্রধান কাজ।

চলতি বছরের শুরুতে অ্যাক্সিওম স্পেস একটি স্পেস স্যুট উন্মোচন করে। তখন তারা বলেছিল যে নাসার আর্টেমিস–৩ মিশনে পরা হবে এই স্পেস স্যুট। সে সময় কোম্পানিটি আরও বলেছিল, এই স্যুটের ওজন হবে ৫৫ কেজি এবং নারী মহাকাশচারীদের জন্য এটি বেশ মানানসই হবে।

আর্টেমিস–৩ মিশনের মাধ্যমে ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭–এর পর আবার এই মিশনের মাধ্যমে কোনো মহাকাশচারী চাঁদে অবতরণ করবেন। এই মিশনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো নারী মহাকাশচারী চাঁদে অবতরণ করবেন। এই নারী মহাকাশচারীর নাম ক্রিস্টিনা কোচ।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here