সদা হাস্যজ্বল এক মুখ, নাম তার রেজবিন হাফিজ। সফল এ উদ্যোক্তার অর্জনের যেন ক্লান্তি নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ থেকে শুরু করে অসংখ্য পুরস্কার তার শো-কেইসে সাজানো। সেই পুরস্কারের সারিতে যোগ হলো ভিন্ন মাত্রার এক জয়।

গাইবান্ধা বিসিক শিল্পনগরী থেকে পেলেন একখণ্ড জমি। যদিও অর্থের বিনিময়েই তিনি সেটি পেয়েছেন। তবে উল্লেখ্য বিষয় অর্থের বিনিময়েও বিসিকের এই জমি যে কেউ কিনতে পারবেনা। বিসিক চেয়ারম্যান জনাব মোশতাক হাসান, এনডিসি’র সার্বিক সহযোগিতায় তিনি প্লটটি পেয়েছেন। তার ফ্যাক্টরি স্থাপনের জন্য স্থানটি বরাদ্দ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জনাব আবদুল মতিন, জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা তিনি উপস্থিত থেকে জমির দলিল-পত্র হস্তান্তর করেন উদ্যোক্তা রেজবিন হাফিজের হাতে। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মাকসুদা রহমান শাহান, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, গাইবান্ধা। মিস্টার শফিকুল ইসলাম আলমগীর, নাসিব, গাইবান্ধা।

এসময় জেলা প্রশাসক জনাব আবদুল মতিন বলেন, “দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমেই সমাজ তথা দেশ কাঙ্খিত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমর্থিত হবে”। এছাড়াও তিনি উদ্যোক্তা রেজবিন হাফিজকে উদ্দেশ্য করে আশ্বাস দিয়ে বলেন সব ধরনের ভোগান্তি এড়িয়ে সুন্দর ভাবে তার ফ্যাক্টরি স্থাপনে তারা তার পাশে থাকবেন। সর্বোত্তম উদ্যোক্তা হওয়ায় ৪মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের জন্য তাকে ধন্যবাদও জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শাহ মোহাম্মদ জুনায়েদ, এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, বিসিক। রাহুল বড়ুয়া, সহকারী মহাব্যবস্থাপক, এসএমই ফাউন্ডেশন, ঢাকা। শাফি আহমেদ, স্টেট অফিসার। মিস্টার হাফিজুর রহমান, ডিরেক্টর, পিপলস ফুটওয়ার এন্ড লেদার গুডস। সরকার মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান , সিনিয়র সাংবাদিকসহ সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।

প্লট হস্তান্তরের বিষয়ে উদ্যোক্তা রেজবিন হাফিজ বলেন, দেশে করোনা মহামারী পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে আমরা আরও দ্রুত কাজে হাত দিতাম। তবে আশা রাখছি আগামী ৬ মাসের মধ্যে ফ্যাক্টরি নির্মাণ এবং মেশিন প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হবে। শুধু ফ্যাক্টরি-ই না পাশাপাশি থাকবে একটি ট্রেনিং সেন্টার যেখানে সকলেই  কাজ শেখারও সুযোগ পাবে।

তিনি আরও বলেন,  ” আমি নদী ভাঙন এলাকার মেয়ে, আমি দেখেছি তাদের দুঃখ-কষ্ট, অনেক সাঁওতাল মেয়েরা নিরুপায় দিশা হারা হয়ে পরে, তাই তাদের একটা কর্মসংস্থানের জন্যই গাইবান্ধায় এই প্রচেষ্টা আমার। এছাড়াও অসহায় নারী পুরুষরাতো সুযোগ পাবেনই। সর্বোপরি সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যাদের প্রচেষ্টায় আমার এ উদ্দেশ্য সফল হতে চলেছে, সকলের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই “।

বিপ্লব আহসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here