এসএমই মেলা যেভাবে উদ্যোক্তাদের বড় বাজারের সন্ধান দিচ্ছে

0

বাংলাদেশের মানুষ বড় উৎসব প্রিয়। আনন্দ-উৎসবে যোগ দিতে, সময় কাটাতে ও ঘুরে বেড়াতে আগ্রহের কমতি নেই। আর এ সব কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে ১০ দিনের ১০ম জাতীয় এসএমই মেলার ৩৫১টি স্টলে যোগ দিয়েছে ৩২৫টি প্রতিষ্ঠান।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে ১০ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মেলা চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশন এ মেলার আয়োজন করেছে। এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশই নারী। তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তারাও মেলায় অংশ নিয়েছেন।

দেশীয় উৎপাদনকারী অথবা সেবামূলক মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারাই মেলায় পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তারাও এসএমই পণ্যমেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এফ এম প্লাস্টিক লিমিটেড এর স্বত্ত্বাধিকারী তৌহিদুর রহমান জানান, ‘প্রতিবছর আমাদের মতো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা অপেক্ষা করে এসএমই মেলার জন্য। এখান থেকে বিভিন্ন অর্ডার পেয়ে আমাদের সারা বছরের উৎপাদনের একটি বড় অংশ বিক্রি হয়। প্রত্যাশা করছি এবারও তাই হবে। ‘

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং ট্যানের স্বত্ত্বাধিকারী তানিয়া ওয়াহাব বলেন, ‘এসএমই মেলাটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রচুর রিটেল করার পাশাপাশি বায়ারের সন্ধানও পেয়ে থাকি। প্রত্যাশা করছি ২০২২ এর মেলাও আমাদের জন্য সফল হবে।’

জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এবং চামড়া শিল্পের উদ্যোক্তা রেজবিন হাফিজ জানান, ‘প্রথম দিনের মেলা জমজমাট দেখে অনেক ভালো লাগছে।প্রত্যাশায় আছি ১০ দিন ব্যাপি মেলা এভাবে জমজমাট থাকবে।’

সরেজমিন দেখা গেছে, ফ্যাশন ডিজাইন খাতের সবচেয়ে বেশি ১৩০টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। এছাড়া খাদ্য/কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ৪৫টি, হস্ত ও কারু শিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৬টি, পাটজাত পণ্যের ৩৫টি, আইসিটি পণ্য-সেবার আটটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের ছয়টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স খাতের তিনটি এবং প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত গত ৯টি জাতীয় এসএমই পণ্যমেলায় প্রায় দুই হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা প্রায় ৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার পণ্য বিক্রয় এবং প্রায় ৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার অর্ডার গ্রহণ করেছেন। এবারও উদ্যোক্তারা প্রত্যাশা করছেন, মেলা শেষে ভালো কিছু নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।

ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here