ঋণ নীতিমালায় ছাড় দেওয়ার পর এখন কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তারা যাতে সহজে ঋণ আবেদন করতে পারে, তার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর অংশ হিসাবে সিএমএসএমই ঋণ নিতে এক পাতার একটি আবেদন ফরম প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গ্রাহকেরা যাতে এই ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে পারে এ জন্য ব্যাংক গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি শাখার এসএমই হেল্প ডেস্কের পাশে দৃশ্যমান স্থানে এই আবেদন ফরম প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে সঙ্গে নতুন আবেদন ফরমটি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

সিএমএসএমই ঋণ পেতে ২২ ধরনের তথ্য প্রয়োজন

এর ফলে সিএমএসএমই ঋণ পেতে এখন সর্বোচ্চ ২২ ধরনের তথ্য প্রয়োজন হবে। তবে গ্রাহক ভেদে এর কমও হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের নাম, ট্রেড লাইসেন্স, মূলধনের পরিমাণ, কর শনাক্তকরণ নম্বর, ব্যাংকের নাম ও হিসাব নম্বর, বার্ষিক বিক্রয়, আয় ও ব্যয়, স্থায়ী সম্পদ, কর্মী সংখ্যা, মজুত পণ্যের মূল্য, আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণের পরিমাণ। এ ছাড়া আবেদনকারীর নাম, পরিচয়পত্র নম্বর, প্রশিক্ষণ, কর শনাক্তকরণ নম্বর, জামানতের পরিমাণ, জামিনদারের নাম, পরিচয়পত্র নম্বর, পেশা, কর শনাক্তকরণ নম্বর, আবেদনকারীর সঙ্গে সম্পর্ক তথ্য জমা দিতে হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার এসএমই ঋণে খেলাপি হওয়ার সময় বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে গ্রাহকেরা কিছুটা স্বস্তি পাবে। পাশাপাশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি কমানোরও নির্দেশ দেয়। এর ফলে ব্যাংকগুলোকে আগের চেয়ে কম নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হবে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৯ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে আগ্রহী না। কারণ, এসব ঋণে খরচ পড়ে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত।

করোনাভাইরাসে ক্ষতিতে পড়া অর্থনীতিকে টেনে তুলতে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি(সিএমএসএমই)খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ তহবিল ঘোষণা করেছে সরকার।

এখন পর্যন্ত মাত্র ৫১৮ কোটি ঋণ অনুমোদন করেছে ব্যাংকগুলো। এখন পর্যন্ত প্রণোদনার ঋণ বেশি অনুমোদন করেছে ইসলামী ব্যাংক, দি সিটি, প্রাইম ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলো।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here