এলডিসি থেকে উত্তরণ: এসএমই খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বিষয়ে সেমিনার

0

এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের এসএমই খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। পণ্যের উৎপাদন খরচ কমানোর পাশাপাশি মান এবং দরকষাকষির সক্ষমতা বাড়ানো দরকার।

স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ পরবর্তী বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং জার্মান উন্নয়ন সংস্থা Friedrich-Ebert Stiftung (FES), Bangladesh এর যৌথ উদ্যোগে একটি সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

বুধবার (১০ মে) পর্যটন ভবনের সম্মেলন কক্ষ, শৈলপ্রপাত-এ অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে অন্তত ৮টি দেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত শুধু শ্রীলংকা ও ভুটানের সাথে এই চুক্তি করা সম্ভব হয়েছে। তাই এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ দরকার। পাশাপাশি এসএমই খাতের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে এসএমই ডেটাবেজ তৈরি প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আবু হেনা রেজা হাসান মূল প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশের এসএমই খাতের দক্ষ জনশক্তি ও ব্যবস্থাপক এবং প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে এসএমই খাতের উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষ ব্যবস্থাপক গড়ে তুলতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। সেই সাথে পণ্যের মান নিশ্চিত করতে মান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা এবং মেধা স্বত্ত্ব নিশ্চিত করতে এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠন করা প্রয়োজন।

মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here