উদ্যোক্তা- ওলি উল্লাহ

‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ এ মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় পুরস্কারে ভূষিত হলেন সফল উদ্যোক্তা ওলি উল্লাহ’র জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং। ১৯৯৬ সালে তার তৈরীকৃত ধান মাড়াই কল ‘প্যাডেল থ্রেসার’ চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আজ অবধি। ১৯৯২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সাধারণ ওয়ার্কশপের কাতারে থাকলেও ২০১২ সালের পর কৃষি যন্ত্রপাতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগীতা, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, উৎসাহ এবং নিরলস পরিশ্রম থেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে যায় ওলি উল্লাহর জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং।

বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিনজেন্টা ফাউন্ডেশন, সিআইএমএমওয়াইটি, আইইই, ইউএসএআইডি, আইআরআরই, ওয়ার্ল্ড ফিস সহ আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি ও সরবরাহ করছে জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং।

শুধু যন্ত্র তৈরীই নয়, তিনি প্রায় তিন শতাধিক মানুষকে ট্রেইনিং দিয়েছেন ৪৫টি কর্মশালার মাধ্যমে। তার হাত ধরে অসংখ্য ওয়ার্কশপ গড়ে উঠেছে তার বিভাগসহ সমগ্র বাংলাদেশে। অনেক ওয়ার্কশপের মালিক আছেন যারা একটি সময় তার প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন। সফল উদ্যোক্তা হিসেবে এমন সব অসংখ্য কৃতিত্বের জন্য তিনি ইতোপূর্বে বর্ষসেরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে।

ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ এ মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হওয়ার অর্জনটি সফল উদ্যোক্তা ওলি উল্লাহ ও তার জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য নতুন এক মাইলফলক। বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ যেখানে কৃষির সঙ্গে জড়িত, সেই কৃষিকে পুঁজি করেই তার এগিয়ে যাওয়া। আর এগিয়ে যাওয়া সার্থক কেবল এসব পুরস্কার প্রাপ্তিতেই নয়, সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো তার জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা কৃষকের মুখের হাসি। এই হাসিই তার আগামীর সবচেয়ে বড় পুঁজি।

সাদিয়া সূচনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here