উদ্যোক্তা তানিয়া ওয়াহাব জানান, ব্যবসার শুরুতে বেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছিল তাকে। কারণ, একজন নারী চামড়ার পণ্য নিয়ে ব্যবসা করবে তা এ দেশের প্রেক্ষাপটে লোকে সহজভাবে নিবে না। তাই সবসময় চেষ্টা করেন নতুন কিছু উৎপাদন করার। যাতে কেউ কিছু বলার সুযোগ করে উঠতে না পারে। তাই ভিন্ন ধরনের চামড়া শিল্পের পণ্য আবারো নিয়ে এসেছেন। ‘ট্যান এবং কারিগর’র স্বত্ত্বাধিকারী উদ্যোক্তা তানিয়া ওয়াহাব সৃজনশীলতার সঙ্গে তৈরি করেছেন সরকারি লোগোসহ ল্যাপটপের ব্যাগ।

উদ্যোক্তা তানিয়া ওয়াহাব বলেন, করোনা প্যানডেমিকের কারণে অনেক ধরনের ব্যবসা নষ্ট হয়েছে। ফলে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি করা অনেক কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য নতুন কিছু করে দেশীয়ভাবে লেদারের পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে শক্তি বাড়াচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের কর্পোরেট ক্ষেত্রে প্রচলিত উপহার সামগ্রীগুলো আগে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছিলো। যেহেতু প্যানডেমিকের সময়ে পণ্য আসা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই এই লেদারের পণ্যগুলো এখন আমাদের দেশেই তৈরি হচ্ছে। যার ফলে দেশের রাজস্ব আয় বাড়ছে এবং উদ্যোক্তাদের অর্থনীতির অবস্থা উন্নত হচ্ছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বেকারত্ব দূর হচ্ছে ধীরে ধীরে’।

নতুন পণ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এবার নিজের প্রতিষ্ঠানে সরকারি লোগো ডিজাইন করে নতুন কিছু পণ্য উৎপাদন করে সবার মাঝে নিয়ে এসেছেন যা হলো লেদার ল্যাপটপ ব্যাগ। উদ্যোক্তা সময়মত ডেলিভারি করতে পেরেছেন বলে আনন্দ প্রকাশ করেন।

তানিয়া ওয়াহাব মনে করেন- এখন পরিবেশ-পরিস্থিতি অনেক বেশি পালটেছে। অনেক তরুণ উদ্যোক্তা এই সেক্টরে এসেছেন। অনেকে তার এসব নতুন উৎপাদিত পণ্য দেখে উৎসাহিত হয়ে এই হস্তশিল্পের চামড়ার পণ্য নিয়ে আরো এগোতে চাইছেন বলে জানান তিনি।

তানিয়া ওয়াহাব জানান, তার প্রতিষ্ঠানে চামড়া দিয়ে নারীদের ব্যাগ, জুতা, চামড়ার ফাইল, চাবির রিং ইত্যাদি তৈরি করেন। শত শত চামড়ার তৈরি পণ্য অনেক দেশেও রপ্তানি করেছেন। ভবিষ্যতে আরো সৃজনশীলতার সঙ্গে পরিকল্পনা নিয়ে এগোবেন বলে জানান এই উদ্যোক্তা।

মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা ঢাকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here