রাজধানী জুড়ে অসংখ্য মানুষের বাস। এই মানুষগুলোর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন পছন্দ। কেমন হয় সেই পছন্দের মাত্রাগুলোকে যদি এক করা যায়?
বছরের প্রায় অনেক সময়ই ফিক্সড প্রাইজের আউটলেটগুলো ক্রেতাদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ডিস্কাউন্ট অফার দেয়। কিন্তু বেশিরভাগ সময় ডিস্কাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যগুলো সম্পর্কে ক্রেতারা অবগত থাকেন না।
সকল ডিস্কাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যকে এক করে ক্রেতাদের নিকট পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে তিন বন্ধু আহসান কবির, আননূর রহমান এবং আলী ফিদা একরাম তোজোর উদ্যোগ ‘ব্লু-কার্ড’ সেবা অ্যাপ।
উদ্ভাবনী কিছু করতে চাওয়ার তাড়না নিয়ে অনেক পরিকল্পনাই বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন তারা, কিন্তু কোনোকিছুতেই মনোনিবেশ করতে পারছিলেন না।
একসময় ভাবলেন সকল ফিক্সড প্রাইস আউটলেটগুলোর ডিসকাউন্ট অফারগুলোকে একটি কার্ডের মাধ্যমে সকলের কাছে পৌঁছে দিলে কেমন হয়?
সময় নষ্ট না করে নেমে পড়লেন কাজে। যদিও তাদের কোনো মূলধন ছিলোনা, তবে আত্মবিশ্বাস ছিলো প্রবল।
নিজেদের উদ্ভাবনী তাড়না আর আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে যাত্রা শুরু করলেন তিন বন্ধু। ৩ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে পৌঁছান কাঙ্খিত লক্ষ্যে।
২০১৮ সালের ১৪ই জুলাই ‘ব্লু-কার্ড’ নামে একটি ম্যাজিক কার্ড তৈরি করেন তারা। এই কার্ড ব্যবহার করে যেকোনো ফিক্সড প্রাইস আউটলেট থেকে পাওয়া যাবে ডিস্কাউন্ট। ব্লু-কার্ডটির মূল্য রাখা হয়েছে ‘দুইশত’ টাকা। “এমন কার্ড বাজারে আরও অনেক পাওয়া যায় যেগুলোর মূল্য অনেক বেশী” উদ্যোক্তা বার্তাকে এমনটাই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
তারা আরও জানান, বড় কোনো মূলধন ছাড়াই কেবলমাত্র নিজেদের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে নিজেদের উদ্যোগকে সফলতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও খুব সহজেই নিজেদের নিকটবর্তী কোন এলাকার কোন ফিক্সড প্রাইস আউটলেটে ডিস্কাউন্ট অফার আছে তা জানা যাবে ব্লু-কার্ড’ অ্যাপ এবং ম্যনুয়াল বই ব্যবহারের মাধ্যমে।
নিজেদের ব্যবসায়ের পরিসর আরও বাড়াতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। তাদের লক্ষ্য ২০১৯ সালের মধ্যে পুরো দেশজুড়ে ‘ব্লু-কার্ড’র সার্ভিস প্রদান করে ক্রেতাদের সুবিধা প্রদানের কাজকে আরও সহজতর করা।
জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা