উদ্যোক্তা- সাবরিনা ইসলাম ভূঁইয়া

চাকরিরত অবস্থায় ধানমন্ডিতে হোস্টেলে থাকাকালীন সময় অন্যান্য ছাত্রীদের জীবনমান, নিরাপত্তা, খাবার, পড়াশোনার পরিবেশ সবকিছুর মানোন্নয়নের বিষয়টি উপলব্ধি করতেন সাবরিনা ইসলাম।

২০১৩ সালে একটি ৬ তলা বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে নিজেই শুরু করলেন হোস্টেল ছায়ানীড় ছাত্রী নিবাস। কঠোর নিরাপত্তা, কাউন্সেলিং, থাকার পরিবেশ আর খাবারের মান সর্বোপরি ঘরোয়া পরিবেশ উদ্যোক্তাকে হোস্টেল ব্যবসায় অভাবনীয় সাফল্য এনে দিলো। প্রথম মাসেই ৫৬ টি সিট পূর্ণ হলো।

উদ্যোক্তা এবং তার হোস্টেলের ছাত্রী

এক বছর পর পাশের একটি ভবনের ৭ম তলা ভাড়া নিয়ে সর্বমোট প্রায় ১০০ জন ছাত্রীর থাকার ঘরোয়া পরিবেশ নিয়ে ছায়ানীড়-২ এর কার্যক্রম শুরু করেন সাবরিনা। উদ্যোগের সাথে আয়ও বৃদ্ধি পেতে থাকলো। আরো বেশি উদ্যমী হয়ে এগোতে থাকলেন উদ্যোক্তা।  ১১ জন কর্মী নিয়োগ দিয়ে হোস্টেলের যাবতীয় কাজ করাতে শুরু করলেন উদ্যোক্তা।

উদ্যোক্তার ইলোরা বুটিকস এন্ড পার্লার

একসময় সাবরিনা চিন্তা করলেন নিজেদের সৌন্দর্যায়নের জন্য পার্লারে গিয়ে ছাত্রীরা প্রচুর সময় ব্যয় করে, যেই সময়টায় সহজেই তারা পড়াশোনায় মনযোগী হতে পারতো। এই চিন্তা থেকেই ৮০০ স্কয়ার ফিট জায়গা নিয়ে ২০১৫ সালে হোস্টেলের পাশেই উদ্যোক্তা নিজে একটি বুটিক শপ ও পার্লার স্থাপন করলেন। নাম দিলেন ‘ইলোরা বুটিক এন্ড পার্লার’। যেখানে ক্রেতা শুধুমাত্র ছাত্রীরাই নয়, পুরো বাংলাদেশ।

মেলায় অংশগ্রহণকালীন উদ্যোক্তা ও তার স্টল

৪ জন কর্মী নিয়ে নিউমার্কেটে একটি ফ্যাক্টরি ভাড়া নিলেন উদ্যোক্তা। কঠোর পরিশ্রম করতে থাকলেন দিনরাত। একসময় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বাইরে অস্ট্রেলিয়া,  কানাডা এবং ইউকেতে যেতে শুরু করলো উদ্যোক্তার তৈরী পণ্য। কাজের পরিধি বেড়ে দাঁড়ালো অনেক।

সিলেটে উদ্যোক্তার নতুন হোস্টেলের শুভ উদ্বোধন

বর্তমানে ঢাকায় উদ্যোক্তার ২টি হোস্টেলে মোট ছাত্রী সংখ্যা ১৫৩ জন। গত ২রা নভেম্বর সিলেটে আরও একটি হোস্টেলের কার্যক্রম শুরু করেছেন, যেখানে মোট ছাত্রীর সংখ্যা ৫০জন। পাশাপাশি সিলেটে নিজের বুটিকস’র  ব্যবসাকেও প্রসারের চিন্তা করছেন সাবরিনা ইসলাম।

 

 

খুরশিদা পারভীন সুমী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here