উদ্যোক্তা খালেদ মাহমুদ

নিজের এবং পরিবারের জন্য সুরক্ষা মাস্ক কিনেছেন অনেক আগেই কিন্তু তারপর করোনার প্রকোপে দেশে মাস্কসহ যখন সব কিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে তখনই চিন্তা আসে এই প্রোডাক্ট ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কোন কারন নেই। এটা বড় জোর ২০-২৫ টাকা হওয়ার কথা। যেহেতু খালেদ মাহমুদ একজন উদ্যোক্তা সেহেতু এমন চিন্তা তার অবান্তর নয়।

আর তখনই উদ্যোক্তা হাসিনা মুক্তার মাস্ক, পিপিই নিয়ে কাজ কারার বিষয়টা চোখে পড়েছে। তাই উদ্যোক্তা খালেদ মাহমুদ বলেন, “আমি অনেক আগের থেকেই মুক্তা আপুকে চিনি। আমি চলে গেলাম তার কাছে। তিনি তখন আমাকে এটা তৈরি করতে অনুপ্রানিত এবং যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানিয়ে দিলেন। আমি আমার অনলাইন শপ-এ ২০ টাকা করে সেল করলাম এবং পাইকারিতে নিতে চাইলে ১৫ টাকা করে দিলাম।

আমরা প্রচুর সাড়া পেয়েছি। এছাড়া যখন দেখলাম বাজারে সেনিটাইজার নেই এই সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী চড়া মুল্যে বিক্রি করছে। তখন আমি অনেক কষ্টে সেনিটাইজার জোগার করে গায়ের রেটেই সেল করেছি। ব্যবসায় লাভ নয়, সেবা দেয়াই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো আমার। দেশের এই পরিস্থিতিতে একটু হলেও অবদান রাখতে পেরেছি ভেবে তৃপ্তি কাজ করে”।

ঢাকার জুরাইনে বাড়ী, এখানেই ছোট থেকে বেড়ে ওঠা। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট উদ্যোক্তা খালেদ মাহমুদ। ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ২০১২ সালে সময় টিভিতে থাকা কালিন সময়ে বিজনেস শুরু। “চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব” গ্রুপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজনেসে আসা। পরবর্তীতে ই-ক্যাব তাকে এগিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করে। মূলত কিডস আইটেম নিয়ে কাজ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ” কিছু অনলাইন শপের কারণে বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষ অনলাইন শপ গুলকে প্রতারক ভাবে। কিন্তু আমি আমার প্রতিষ্ঠানকে এক নম্বর বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই। কারণ কাজে আর কথাই এক থাকার চেষ্টা করি”।

দেশের এ অবস্থায় মানবিক দিক থেকে সকলেরই এগিয়ে আসা উচিৎ আর সেসবই করছেন খালেদ মাহমুদের মতো উদ্যোক্তারা। যিনি নিজে অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং সেটি ছড়িয়ে দিচ্ছেন অন্যদের মাঝে।

বিপ্লব আহসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here