আম নিয়ে সারা বছরই দেশের মানুষের কাছে পৌঁছান উদ্যোক্তা সানজিদুল ইসলাম

0
উদ্যোক্তা সানজিদুল ইসলাম

শিক্ষিত উদ্যোক্তা হয়ে দেশের উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে চান চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর মোল্লা সানজিদুল ইসলাম। ই কমার্স বা এফ কমার্স এর চিরাচরিত প্রথার বাইরে গিয়ে প্রকৃত সেবা দেওয়ার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

বয়সে কেবল ১৩ কি ১৪, তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন নিজেকে আলাদাভাবে সবার সামনে তুলে ধরার। তিনি চেয়েছিলেন তার বলার মতো একটা পরিচয় হোক যেটা কারও অধীনে নয় বরং স্বকীয় পরিচয় থাকবে। এরপর আস্তে আস্তে পুরাতন মোবাইল বিক্রি থেকে শুরু করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে আমের দেশের মানুষ হওয়ায় আমের ব্যবসা দিয়ে যাত্রাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। এরপর পর্যায়ক্রমে নিজে বড় হতে থাকেন আর তার থেকেও বড় হতে থাকে তার স্বপ্নগুলো।

ধীরে ধীরে তার আমের ব্যবসার প্রচার এবং প্রসার শুরু করেন চাঁপাই আম বাগান নামক ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে। আমের ব্যবসার প্রথমদিকে তার ব্যবসার পরিধি অনেক কম থাকলেও তা এক পর্যায়ে ২০১৮/১৯ সালে একটি স্বকীয় পরিচয় হিসেবে দাঁড়ায় তার। এরপর আর কোনো ফিরে দেখা ছিল না। শুধুই ছিল এগিয়ে যাওয়া। ধীরে ধীরে ব্যবসার প্রসার করতে থাকেন তিনি। শুধু আম থেকে লিচু, মধু, ঘি, আচার, খাঁটি তেল, গুড়, মশলা ইত্যাদি পণ্য নিয়ে তিনি বিশাল পরিসরে কাজ করা শুরু করেন। আর এসব তিনি নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ, উৎপাদন, বিপনন এবং বাজারজাত করতেন। এরপর উদ্যোগ বড় হতে থাকে এবং তিনি জনবল নিয়োগ করেন যার ফলে তিন/চার জন তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। সেখানে থেকে তিনি আজকে নিজের প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ব্যবসা দাঁড় করিয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা সাথে অনেকের কাছে স্বাবলম্বী অর্জনের পথ।

তিনি একজন সফল উদ্যোক্তাই নন শুধু পাশাপাশি তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে এম.বি.এ করেছেন। তিনি পড়াশোনা শেষ করে পুরোপুরিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া এবং অনুপ্রেরনা দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন এবং কাজ করছেন সেই অনুযায়ী। তার আশেপাশে থাকা অনেকের কাছে অনুপ্রেরনা তিনি। তার হাত ধরে আরও অনেক উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছেন যারা আজকে সফলতার সাথে নিজের কাজ করছেন। তিনি সবসময় হাসিমুখ নিয়ে মানুষকে বলে যান কিভাবে একজন শিক্ষিত তরুন দেশের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতে এবং বাস্তবায়ন করতে পারে।

“উদ্যোক্তা হওয়ার পথে আমার বড় বাধা ছিল সবাইকে মানানো কারন তখন এইদিকে মানুষ খুব কম আসতো। এরপর আসতে আসতে আমি হাল না ছেড়ে কাজ করে গেছি। যারা সেদিন আমাকে বলেছিল যে এসব না করে পড়াশোনা করে চাকুরি করো তারা আজকে আমার পরামর্শ নিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার পথে আলহামদুলিল্লাহ। ” উদ্যোক্তা বার্তা কে জানান তিনি।

তার স্বপ্ন হচ্ছে দেশের তরুণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধুমাত্র চাকুরির পেছনে না ছুটে দেশের হয়ে কিছু করবে যেটা তাকে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।

সাকিব মাহমুদ
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here