‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড’ কিন্তু এই মেরুদণ্ডের শুরু যদি হয় অনিহা বা বিরক্তি দিয়ে তাহলে সে জাতি উদ্দেশ্য সিদ্ধিতে ব্যাহত হয়। তাই এই উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন সামাজিক উদ্যোগের সংস্থা ‘লাটিম’। মূলত তাদের কাজ চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট নিয়ে।
কোমল-মতি শিশুদের আনন্দের সাথে পাঠদানে সকল ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে একটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছিলো তারা। যেখানে মজার মজার ছবি, খেলনা, রঙবেরঙের কার্টুন সহ বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে শিক্ষা দান পদ্ধতি দেখানো হয়।
সারাদেশ হতে প্রায় ১৫০ জনেরও বেশী প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ করেছিলো তাদের শিক্ষা উপকরণ নিয়ে। অভিজ্ঞ বিচারকরা বিভিন্ন দিক নির্ণয়ের মাধ্যমে প্রথম ১১জনকে বাছাই করেন এবং তাদের উপকরণ নিয়েই এই প্রদর্শনী হয়।
কাঠামোগত শিক্ষার জন্য আমাদের দেশে বিদ্যালয়, শিক্ষক, পাঠ্যপুস্তক এবং নানান ধরণের সহোযোগী উপাদান আছে। কিন্তু এছাড়া যে সমস্যা গুলো রয়েছে তার কি হবে? শিশু লিখতে পারেনা, বিদ্যালয়ে যেতে অনীহা, পড়তে ভালো লাগেনা, আবার পড়লেও মনে থাকে না। এ রকম যত ধরণের সমস্যা আছে সেগুলো নিয়েই ‘লাটিম’ কাজ করছেন।
২০১৭ সালে ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেন। বিশেষ করে প্যারেন্টিং, নিউট্রেশন, এডুকেশন এবং ফিজিক্যাল হেলথ্ নিয়ে ফেসবুকে সাজেশন দিতেন। প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন ফারাহ তুবা এবং পরবর্তীতে নোশীন তাবাস্সুম, ইফ্ফাত হোসেন ও আশফাক কবীর এবং তাদের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন অনেক গুণী জনরা যারা দেশেও বিদেশে অবস্থান করছেন এবং সকল ধরণের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
আয়োজকরা জানান, দেশে চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে কিন্তু সেগুলো সাজান-গোছান নয় তাই আমরা এটাকে গুছিয়ে নিয়ে কাজ করতে চাই। শিশু বিকাশকে তরান্বিত করতে যেসকল উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার সেগুলোই আমরা করতে চাই।
উদ্যোক্তা ফারাহ তুবা বলেন, শিক্ষা গ্রহণে অনিহা, এই অবস্থার পরিবর্তন আনয়নে কাজ করছে লাটিম। লাটিম মূলত তাদের তৈরী শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিতে চায় বাংলাদেশের সর্বত্র। বিভিন্ন সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ, এনজিও, ব্যক্তিগত উদ্যোগ সহ বাংলাদেশের সকল স্কুলে সীমিত মূল্যে শিক্ষা উপকরণ পৌঁছানো এবং শিক্ষকদের সে সবের উপর প্ররশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিশু শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়া লাটিমের প্রত্যয়।
বিপ্লব আহসান