অনলাইন ব্যবসায় সাবরিনার মাসিক আয় ৬০ হাজার ডলার

0
উদ্যোক্তা - সাবরিনা ফিলিপ

নিজেকে পরিচিত করার এবং ব্যবসা বড় করার  সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল সোস্যাল মিডিয়া। এই সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি নিজের পরিচিতি বাড়াতে পারবেন সাথে আপনি আপনার ব্যবসা অনুযায়ী ভোক্তাদের আকৃষ্ট করতে পারবেন। উদ্যোক্তা সাবরিনা ফিলিপ এভাবেই তার  ব্যবসা বড়ো করে হয়েছেন উদ্যোক্তা। আসুন শুনি তার গল্প :

ফিলিপ জন্মগ্রহণ করেন জার্মানিতে, মিয়ামিতে বড় হয়েছেন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি যখন কলেজে ছিলেন তখন থেকেই ভ্রমণের সময় কীভাবে উপার্জন করা যায় সেগুলি নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। কারণটি ছিল বিদেশী শহরগুলি ঘুরে দেখা এবং পাসপোর্টের স্ট্যাম্পগুলি অর্জন করা।

প্রথমদিকে, সাবরিনা ফিলিপি ভেবেছিলেন যে তিনি কোনো ভ্রমণ ব্লগার হয়ে উঠতে পারেন। তিনি নিজের জন্য একটি ওয়েবসাইট, লোগো এবং পরিচালনার জন্য সবকিছু প্রস্তুত করেছিলেন। তবে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ভ্রমণ ব্লগকে নগদীকরণের পথ কতটা চ্যালেঞ্জিং এবং অসম্ভব। তারপরও তিনি চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন, থেমে যাননি।

তিনি বলেন, আমি কিভাবে কাজ করব সে সম্পর্কে আমার কোনো  ধারণা ছিল না, তবে আমি জানতাম যে ব্যর্থতার কোনও বিকল্প নেই। পরবর্তীতে তিনি সেখান থেকে সরে আসতে বাধ্য হন।

তিনি সোস্যাল মিডিয়াতে কাজ শুরু করেন। তার আয় হতো প্রতি ঘন্টায় ১২ ডলার। এতে তিনি দেখেন মাস শেষে তার উপার্জন হয়েছে প্রায় ৫০০০ ডলার। পরবর্তীতে তিনি সেই প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি চুক্তিতে আসেন ১০০০ ডলারের মাসিক বেতনের, সেটা খুব শীঘ্রই ২৬০০ ডলারে  রূপান্তরিত হয়। একদিন একজন সদস্য তাকে বলে যে তার সেবাগুলো প্যাকেজ আকারে প্রকাশ করার জন্য। উনার কথাটি তার মনে ধরে, তিনি তার সোস্যাল মিডিয়ার কিছু কাজ প্যাকেজ আকারে প্রকাশ করেন এবং ভাল সাড়া পান। প্যাকেজটি পুরোপুরি পেতে তিনি প্রিমিয়াম করে রাখেন। এতে তার লাভ হয় প্রায় ২০০০০ ডলার।

অন্যকে অনলাইন ব্যবসা শেখানোর জন্য কোচিং, গ্রুপ প্রোগ্রাম, কোর্স এবং নানান ভাবে তিনি সহায়তা করতেন। তার এসব উদ্যোগ দেখে অন্যান্য মালিকরা তার এই ব্যবসার ধারণাটির সাথে কাজ করতে চান। এতে করে এক বিশাল মূলধনের সৃষ্টি হয়। ফলে এক বছরের মধ্যেই তার মাসিক আয় ৬০,০০০ ডলার হয়ে যায়।

তিনি নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বলেন, আপনাদের নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরি করতে হবে। যদিও আপনি নতুন ব্যবসা সূচনা করেছেন, তবুও আপনাকে কৌশলগত নীতি মনে রাখতে হবে। তারপরে সেই স্বপ্নগুলি বাস্তবায়নের দিকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

আপনার ভোক্তারা তাদের বেশির ভাগ সময় কোথায় ব্যয় করে সেইটা আপনাকে বুঝতে হবে। আপনি যদি কিশোরীদের পণ্য বিক্রয় করেন তাহলে আপনাকে বুঝ হবে তারা কোথায় তাদের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করে। ধরুন তারা বেশিরভাগ সময় ইনস্টাগ্রামে ব্যয় করেন, তাহলে কিন্তু আপনি টুইটারে বিনিয়োগ করতে পারবেন না। সময়ের সাথে সাথে অবশ্য আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ভোক্তা কোথায় আছে।

আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলো সেখানে সংযুক্ত করতে পারেন।

যখন কোন কিছু ব্যক্তিগত হয় তখন তা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আজকের সমাজে, দুর্বলতা একটি নোংরা শব্দ। আমরা নিজেকে দুর্বল বা সংবেদনশীল বা ছোট হিসাবে দেখাতে চাই না। আমরা শক্তিশালী, নিখুঁত এবং সফল হিসাবে বিবেচিত হতে চাই।

 

হৃদয় সম্রাট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here