যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোকিত উদ্যোক্তা চিং পাইয়ি মার্মা

0
উদ্যোক্তা চিং পাইয়ি মার্মা

যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে আলোকিত করে গড়ে তুলেছেন আদিবাসী উদ্যোক্তা চিং পাইয়ি মার্মা।
কর্মসংস্থান সৃজন ও আত্নকর্মসংস্থানে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে পেয়েছেন জাতীয় যুব পুরষ্কার ২০২১।

বান্দরবানের মেয়ে চিং পাইয়ি মার্মা।বাবা উটিংশৈ মার্মা মা উনুচিং মার্মা।তাদের চার জনের সংসার।পড়াশুনা করেছেন বান্দরবানেই।এখনও পড়াশুনার গন্ডি শেষও হয়নি।

উদ্যোক্তা জানালেন, পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোক্তা হয়ে উঠা। সংসারে মানুষ কম থাকলেও অভাবটা ছিলো অনেক বেশী। কারণ বাবা খুবই অসুস্হ থাকতো।মায়ের অল্প কিছু জমিতে চাষাবাদ করে সংসার খুব কষ্টে চলছিলো।এরই মাঝে বাবার মৃত্যতে সংসারে নেমে আসে কালো মেঘের আঁধার।

কিন্তু কোন না কোন ভাবে এই আঁধার কাটাতে হবে।তাই আত্নবিশ্বাসী এই উদ্যোক্তার মনে হলো যুব উন্নয়ন থেকে থেকে একটা প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখলে মনে হয় তিনি কিছু না কিছু করতে পারবেন।শুধু তাই না একমাত্র বড় বোনকেও সাহায্য করতে পারবেন।

২০১৮ সালে চিং পাইয়ি যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নেন শো-পিস তৈরীর। এরপর যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও নিজের প্রবল ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বানাতে শুরু করলেন শোপিস, আর্টিফিশিয়াল ফ্লাওয়ার, হ্যান্ড ব্যাগ, কাগজের পতাকা যা কিনা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলোতে খুব বেশী চলতো।

তার প্রতিষ্ঠান চিংপাইয়ি শো পিস এর যাত্রা শুরু হলো। বান্দরবান জেলাতে তার পণ্য বেশি ডেলেভারি যাচ্ছে।সেই সাথে সাথে তার হাতের তৈরি খোপার ফুল মায়ানমারেও যাচ্ছে।

চিং পাইয়ি মার্মা বলেন, বড় বোন খুব সাহায্য করেছে সবসময় আর বোনের থেকে পাওয়া আর্থিক সহায়তা যুব উন্নয়ন থেকে ঋণ নিয়ে তিনি উদ্যোক্তা হবার পথে হাঁটলেন।শুরুর দিকে এই পথচলা সাবলীল ছিলোনা কিন্তু একাগ্রচিত্তে কাজ শুরু করি। বর্তমানে মাসে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে ।

বর্তমানে ১৫ জন সহকর্মী থাকলেও করোনাকালীন সময়ে অনেকে বন্ধুরাই বাড়িতে চলে যায় তারপরও কাজ থামিয়ে রাখেননি উদ্যোক্তা।

চিং পাইয়ি জানান, আমাদের জীবনটা অনেক বেশী সংগ্রামের তাই আরও সংগ্রাম করে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

মাসুমা সুমি,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here