বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সময়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্ভাবনার ইয়ুথ ফর বাংলাদেশের একদল শিক্ষার্থী তাদের অনলাইন বিতর্ক প্রতিযোগিতার হাত খরচের টাকা দিয়ে ঈদের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের।

সম্ভাবনার আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে তুলে দিয়েছে এক বেলা ভালো খাবার। পোলাও, মুরগির রোস্ট, ডিম, মিষ্টান্ন ও পানি। তাতেই খুশিতে আত্মহারা শিশুরা, তাদের হাসিমুখ দেখতে পেরে নিজেদের গর্বিত ভাবছে তরুণ শিক্ষার্থীরা।

ঈদের দিনে শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর ১২, পল্লবী, কালশী গুদাড়াঘাট বস্তির ৫০০ পথশিশু, বস্তির সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে এসব খাবার।

জানতে চাইলে সম্ভাবনার স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পুরো পৃথিবী একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে আজ পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকায় দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও সুবিধা বঞ্চিত পরিবারগুলো আছে তীব্র খাদ্য সংকটে। ঈদ তাদের কাছে এবার আর খুশির বার্তা আনে না। শহরের পথ শিশুদের অবস্থা আরো শোচনীয়। প্রতিবছর বিভিন্ন সংগঠন ঈদে পোশাক দিলেও এবছর কিছুই পায়নি তারা। রাস্তাঘাটে মানুষ না থাকায় ঈদে কি খাবে তার নেই কোন নিশ্চয়তা। সুবিধাবঞ্চিত এসকল শিশুর কথা ভেবে সম্ভাবনা ইয়থ ফর বাংলাদেশের একদল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের অনলাইন বিতর্ক প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণের টাকা দিয়ে এক বেলা ভালো খাবারের ব্যবস্থা করে।

সম্ভাবনার স্বেচ্ছাসেবকরা আরও জানায়, পুরো রমজান মাস জুড়ে আমরা ইফতার বিতরণ করেছি প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মাঝে। মানুষগুলোর সাথে আমাদের এক আত্মীয়তার মত বন্ধন তৈরি হয়েছে। তাদের কষ্টের কথা আমাদের কাছে বলতো। আমরা প্রতিটি মানুষের হাড়ির খবর জানি। অধিকাংশ মানুষের ঈদে ভালো খাওয়ার সামর্থ নেই। আর পথ শিশুদের অবস্থা আরো শোচনীয় প্রতি ঈদের মত এবারের ঈদ না। দোকান পাট সীমিত আকারে খোলা। ঈদের নতুর পোশাক তো স্বপ্ন ঈদের দিনে কি খাবে সেটিও নিশ্চিত নয়। তাই এবার ঈদে আমরা সবাই মিলে পরিকল্পনা করি ওদের নিয়ে ঈদ পালন করার।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্ভাবনার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং বিতরণ কার্যক্রমের পরিচালক আরিফুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমাদের তরুণরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। পাশাপাশি নিজেদের খুশি ভাগ করে নিচ্ছে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে।

তিনি বলেন, করোনা সংকটের প্রথম থেকে সম্ভাবনা চার হাজারের অধিক মানুষকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। এর মাধ্যমে এক হাজার ২৫টি পরিবার উপকৃত হয়েছে পাশাপাশি রমজানে প্রতিদিন মিরপুরে দুই’শ এর অধিক মানুষকে ইফতার পৌঁছে দিয়েছে। এই পুরো কাজটি করেছে সম্ভাবনা ইয়ুথ ফর বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীরা।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here