হস্ত শিল্পের কারিগর-মাহমুদুল হাসান

হস্তশিল্পের প্রতি ছোটবেলা থেকেই বিশেষ আকর্ষণ ছিলো মাহমুদুল হাসানের। মা সুন্দর সব নকশা এঁকে রাখতেন আর তা দেখেই তিনি আঁকার চেষ্টা করতেন। মা ভীষণ উৎসাহ দিতেন ছেলেকে।

হস্থশিল্প নিয়ে কাজ করার সুপ্ত বাসনা পূর্ণতা পায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হস্তশিল্প সম্পর্কিত একটি গ্রুপে অন্যদের কাজ দেখে।  কাজের শুরুটা ছিলো ফেব্রিক আর্টের মধ্য দিয়ে। প্রথমে ব্লকপ্রিন্টিং এরপর টাইডাই, জুয়েলারি মেকিং, ক্যান্ডেল মেকিং, পেপার ক্রাফটিং সহ আরো অনেক রকমের কাজ করা আর শেখা।

মাহমুদুল হাসান এর তৈরি চুড়ি

৪ বছর আগে ফেসবুকে একটি পেইজ খুলে মূলত অনলাইনেই ব্যবসা পরিচালনা করেন তিনি। পাশাপাশি ঢাকায় দেশীপণ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন মেলায় প্রায়শই অংশগ্রহণ করেন নিজের তৈরি পণ্য নিয়ে। কাঠ, গামছা, সুতা তার তৈরী গহনার প্রধান উপকরণ। কাঠের গহনা আর গামছার গহনায় সাড়া পেয়েছেন ব্যাপক। এছাড়াও গ্রাহকদের চাহিদার ভিত্তিতে জার্মান সিলভারের জুয়েলারিও করে থাকেন তিনি।

মাহমুদুল হাসান এর তৈরি পণ্য

অনলাইন ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে উদ্যোক্তা বার্তাকে তিনি জানান, “যেহেতু আমরা ঢাকায় ক্যাশ-অন ডেলিভারি দিয়ে থাকি তাই স্বাভাবিকভাবেই ডেলিভারি এজেন্সিগুলোর শরণাপন্ন হতে হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই তারা পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি করে যেটা আমাদের কাজের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পাশাপাশি সঠিক সময়ে ডেলিভারি না হওয়াতে গ্রাহকদের নিকট আমাদের ব্রান্ডের প্রতি বিরূপ ধারনা তৈরি হয়।

মাহমুদুল হাসান এর বিভিন্ন ডিজাইনের পণ্য

তিনি আরও জানান, ” অনেক সময় দেখা যায় বেশিরভাগ সময়েই আমাদের ব্যতিক্রমী ডিজাইনগুলো অন্যরা নকল করতে শুরু করে। এতে ডিজাইনের মান নষ্ট হয়, আমাদের নান্দনিক কাজ করার আগ্রহও হারিয়ে যায়।”

মাহমুদুল হাসান এর তৈরি বাহারি রকমের পণ্য

তিনি আশা করেন, শপিংমলগুলোতে বিদেশী পণ্যের ভীড়ে দেশীয় নান্দনিক হস্থশিল্পজাত পণ্যের চাহিদা আরো বাড়ুক। দেশের তরুণ প্রজন্ম দেশীয় হস্তশিল্পের গুরুত্ব অনুধাবন করে এগিয়ে আসুক দেশের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং স্বনির্ভর ও শিল্পোন্নত একটি দেশ গড়তে।

 

সামির হোসেন

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here