পাটের তৈরি ক্যালেন্ডার? পাটের তৈরি হরেক রকম পণ্যের মধ্যে এমনই একটি ক্যালেন্ডার চোখে পড়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার জেডিপিসি’র প্যাভিলিয়নে।
পাটের তৈরি হোম ডেকর থেকে শুরু করে অফিস ডেকোরেশনের মত আকর্ষণীয় নানান ধরণের পণ্য নিয়ে জেডিপিসি’র প্যাভিলিয়নটিতে একটি স্টল সাজিয়েছেন নার্গিস আহমেদ।

শুধু গৃহিণী থাকতে চাননি তিনি। গৃহিণী থেকে চাকরি জীবন। চাকরির পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে কিছু করার প্রচেষ্টা ছিলো আগে থেকেই। বুটিকস নিয়ে কাজ করেন ২০০২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত।
২০১৩ তে বুটিকস এর উপর একটি ট্রেনিং নেন চায়নাতে। সেখান থেকে যান নিউজিল্যান্ড। প্রশিক্ষণের একটি ক্লাসে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ পাট ও পাটজাত পণ্য সম্পর্কে জানেন।

বাংলাদেশে এসেই পাট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন এবং বুটিকস থেকে পাটপণ্য নিয়ে কাজ করবার সিদ্ধান্ত নেন। তৈরি করতে শুরু করেন বহুমুখী পাটজাত পণ্য সামগ্রী।
পাটপণ্য নিয়ে কলকাতা ট্রেড ফেয়ারে প্রথম অংশগ্রহণ করেন উদ্যোক্তা নার্গিস আহমেদ। মেলায় জার্মানির একজন ক্রেতা পাটের তৈরি ফুডওয়্যার ও শপিং ব্যাগ দেখে পছন্দ করেন এবং কিছু পণ্য অর্ডার করেন।
গতকয়েক বছরে পাটপণ্য নিয়ে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়েছেন উদ্যোক্তা। দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহন করেন তিনি।

নার্গিস আহমেদ ইউবিপ্রেসকে জানান, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় ট্রাভেল ব্যাগ, স্কুল ব্যাগ, লেডিস ব্যাগ, লাঞ্ছবক্স, টিস্যু বক্স, জায়নামাজ, ফ্লোরম্যাট, ফাইল হোল্ডার, ফ্রুট বাসকেটসহ, লন্ড্রিবাসকেট, জুয়েলারি বক্স, শাড়ি, পাঞ্জাবি, ট্রেসহ প্রায় ৮০ ধরণের পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে এবং এই সব পণ্যগুলো দিয়েই আমি আমার স্টল সাজিয়েছি।

পণ্য তৈরি জন্য উদ্যোক্তার রয়েছে দুটি অঞ্চলে দুটি ফ্যাক্টরি। যেখানে তৈরি হয় ব্যাগ, বক্সসহ অন্যান্য হ্যান্ডমেড এর বহুমূখী পাটজাত পণ্য। ৯০ জন কর্মীর কর্মসংস্থান করেছেন ডাইভারসিফাইড জুট প্রোডাক্টের উদ্যোক্তা নার্গিস আহমেদ। বাংলার সোনালী আঁশকে নিয়ে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্যোক্তা।
শুভ হাসান ও শারমিন আয়াত